রুপন দত্ত – আনোয়ারা প্রতিনিধি
আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে মুহাম্মদ পুর যাত্রী ছাউনিতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এক পাগল বসে থাকতো যিনি রোগাক্রান্ত ও তার একটি পা পঁচে পোকা পড়ে যায়, পুরো শরীরে মাত্র একটা ছেঁড়া কাপড় দিয়ে মোড়ানো। শনিবার ( ১০ জুলাই) তিনি মারা গেলে স্হানীয় বৈরাগ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মুহাম্মাদ সাদ্দাম হোসেন ৯৯৯ ও আনোয়ারা থানার পুলিশ সহ গাউসিয়া কমিটি মানবিক তথ্য কেন্দ্রে অবিহিত করেন। করোনা দাফন ও সৎকার কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার গাউসিয়া কমিটি মানবিক টিম কর্ণফুলীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জরুরি নির্দেশনা দেন । আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদারের অনুমতি ক্রমে রাত ১০.১৫ মিনিটে টিম লিডার মুহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিনের নেতৃত্বে বৈরাগ ইউনিয়নের মুহাম্মদ পুর যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে গোসল কাফনের কাজ শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ।
পরবর্তীতে স্হানীয় কোনো কবরস্থানে দাফনের জায়গা না পেয়ে রাতের ২.৩০ মিনিটে আরফিন নগর সিটি কর্পোরেশনের গণ কবরস্থানে লাশ নিয়ে যায়। সেইখানে গিয়েও ভোগান্তির শেষ নাই। কবর স্থানের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যায়ননি, পরে গাড়ি পাটিয়ে একজনকে ডেকে আনলোও তিনি মৃত্যু সার্টিফিকেট এর অজুহাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন ।
রাস্তায় বিনা চিকিৎসায়, শরীর পচনধরা অবস্থায় আশপাশে দুর্গন্ধের কারনে কোনো মানুষ যেখানে যাননি তার মৃত্যু সাটিফিকেট কিভাবে দিতে পারেন,
তবে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে গাউসিয়া কমিটি মানবিক টিম সব অসম্ভবকে সম্ভব করে পরিশেষে অনেক কষ্টে রাত ৪.২০ মিনিটে এই অজ্ঞাত লাশের শেষ যাত্রা দাফন সম্পূর্ণ করেন, এই কাজে অংশগ্রহণ করপন গাউসিয়া কমিটি মানবিক টিম সদস্য নজরুল ইসলাম, নূরুল আবছার, মোহাম্মদ লোকমান, মুহাম্মদ হাসান, ফজলুল করিম,মির আহমদ,মুহাম্মদ আরমান,আবুল হায়াত তাসবির,মাসুদ পারভেজ ইমন, আরফাত রহমান, মুহাম্মদ ইসমাইল সহ বৈরাগ ইউনিয়ন গাউসিয়া কমিটির নেত্রী বৃন্দ।