চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, অটোরিক্সা-টেম্পু ও বিভিন্ন মটর শ্রমিকসহ ৩’শ সদস্যের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী (ত্রাণ) বিতরণ করা হয়েছে। আজ ১১ জুলাই ২০২১ ইংরেজি রোববার বিকেল ৪টায় এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে ছিল-৭ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবন, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টিঁ সাবান।
এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সজীব কুমার চক্রবর্তী, জেলা নাজির মোঃ জামাল উদ্দিন, অটোরিক্সা হালকাযান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাছির উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনির ও লেবার ফেডারেশনের কোতোয়ালী থানা কমিটির সভাপতি ফেরদৌস জামাল মুকুল। স্বেচ্ছাসেবক টিম তৃণমূল সামাজিক ও যুব উন্নয়ন সংস্থা এবং বেটার ফিউচার বাংলাদেশ ত্রাণ বিতরণ কাজে সহযোগিতা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, করোনা প্রতিরোধে মন্ত্রী পরিষদ ঘোষিত কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে বাস, অটোরিক্সা ও টেম্পুসহ সকল ধরণের গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে চালক-শ্রমিকেরারা একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা মানবেতর দিনযাপন করছে। এ বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে কর্মহীন প্রত্যেক শ্রমিককে সরকারী ত্রাণের আওতায় আনা হচ্ছে। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন অসহায়-অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। আমরা চাই এই পরিস্থিতিতে কেউ অনাহারে ও কষ্টে থাকবেনা।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর লকডাউন চলাকালীন সময়ে সমাজের অস্বচ্ছল কেউ যাতে অভূক্ত না থাকে তা দেখার জন্য জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আমাদের সকলের প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজের কর্মহীন মানুষের পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, প্রতিবন্ধী অসহায় নির্মাণ শ্রমিক, ছিন্নমুল, দুস্থ, হিজড়া জনগোষ্ঠী, সেলুন কর্মচারী, বেদে, হতদরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে।
ডিসি বলেন, নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে যারা প্রকাশ্যে সাহায্য নিতে সংকোচবোধ করছে বা সাহায্য চেয়ে সরকারী ৩৩৩ নম্বরে ফোন ও আমাদের কাছে এসএমএস করছেন প্রত্যেক রাতে তাদের বাসা-বাড়িতে গিয়ে গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ####