আন্তর্জাতিক ওপার বাংলা

পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে ১৫ বাংলাদেশি জঙ্গি

 

সিনিউজ ডেস্ক

গত শনিবারই এসটিএফের জালে ধরা পড়েছে জেএমবি-‌র ৩ জঙ্গি। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-‌এর হাতে ধরা পড়েছে জেএমবি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা। যা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ধৃত জঙ্গিদের জেরা করছে এসটিএফের আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে ধৃত জঙ্গিরা বাংলাদেশের নাগরিক। গতকাল রাতেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতায় অভিযান চালায় এসটিএফের আধিকারিকরা। আর তারপরেই গ্রেপ্তার করা ৩ জঙ্গিকে। এবার ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করতে চায় এনআইএ আধিকারিকরা। এনআইএ আধিকারিকরা এবিষয়ে যোগাযোগও করেছে এসটিএফের আধিকারিকদের সঙ্গে। ইতিমধ্যেই ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করেছে এসটিএফ আধিকারিকরা। জেরায় উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। মালদা, বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকত জেএমবি জঙ্গিরা। আড়াই বছর আগে কলকাতায় ঘাঁটি গাড়ে নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফ ওরফে জয়রাম ব্যাপারী। ২ মাস নয় ধৃত জঙ্গি মিকাইল খান ওরফে শেখ সাবির প্রায় তিন বছর ধরে শহরে বসবাস করছিল। দেড় মাস আগে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে আসে জঙ্গি রবিউল ইসলাম। এর পাশাপাশি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে ভারতে প্রবেশ করেছে জামাতের ১৫ জনের একটি জঙ্গি দল। সেই দলের অনেক জঙ্গি বাংলা থেকে ওড়িশা এবং কাশ্মীরের দিকে চলে গিয়েছে বলেই মনে করছে গোয়েন্দারা। সারা দেশেই ছড়িয়ে রয়েছে জেএমবি জঙ্গিগোষঠীর সদস্যরা। দেশের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে গোয়েন্দাদের। তাই এনআইএ আধিকারিকরা জেরা করতে চাইছে ধৃত ৩ জেএমবি জঙ্গিকে। পুলিশ এখনও খুঁজে চলেছে জেএমবি শীর্ষ কমান্ডার সেলিম মুন্সিকে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, জেএমবি শীর্ষ কমান্ডার সেলিম মুন্সি শহর ছেড়ে পালিয়েছে। সীমান্ত টপকে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে সেলিম মুন্সি। শহর কলকাতার হরিদেবপুর এলাকায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করত সেলিম মুন্সি। ছাতা সারাইয়ের কাজ করত। আর বাংলাদেশ থেকে জেএমবি জঙ্গিদের এনে আশ্রয় দিত। ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে দিত। জেএমবি শীর্ষ কমান্ডার সেলিম মুন্সিকে মরিয়া হয়ে খুঁজে চলেছে এসটিএফ আধিকারিকরা।

সূত্র আজকাল

Related Posts