নিজস্ব প্রতিবেদক
হাটহাজারীর ৫ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের ওবাইদুল্লানগর এলাকার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী এরশাদ কিশোর গ্যাং এর ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে না পারায় তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এরশাদ স্থানীয় এজহার হোসেনের পুত্র।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ‘মায়ের আশা’ নামে একটি মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান পরিচালনা করে আসছেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে।
৭ বছর বয়সী বড় মেয়ে কানিজ ফারহানাও মানসিক প্রতিবন্ধী।
‘এক মাস আগে স্থানীয় ইউপি সদস্যের ছেলে হামিদুর ইসলাম ও তার নেতৃত্বাধীন কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের চাহিদামতো ২০ হাজার টাকা চাঁদা না দেওয়ায় আমার ওপর হামলা চালায়।
বাড়িতে গিয়ে টাকা দাবি করায় আমার স্ত্রী তার স্বর্ণের কানের দুল ও সন্তানকে দেওয়া উপহারের আংটি তুলে দেয় তাদের হাতে। এরপর তারা মোবাইল ও দোকানের মোবাইল সার্ভিসিং এর সরঞ্জাম নিয়ে যায়। এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি’।
এরশাদ অভিযোগ করেন, হাটহাজারী মডেল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম স্থানীয় কিশোর গ্যাং এর পক্ষ নিয়ে তাকে দোকান খুলতে বলেন। প্রাণহানির আশঙ্কার কথা জানালে এবং কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের গ্রেফতার করার দাবি জানালে ওসি ও স্থানীয় এক সাংবাদিক মিলে মানসিক অত্যাচার শুরু করেন। ফেসবুক লাইভ করে মনগড়া বক্তব্য দেওয়া হয়।
প্রতিবন্ধী এরশাদ বলেন, ওসির কথা না শুনলে এবং বেশি কথা বললে প্রতিবন্ধী ভাতা ওঠানো বন্ধ করে দেওয়া এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি পেয়েছি। ওসি কিশোর গ্যাং এর চাঁদা দাবির ঘটনাকে এলাকায় ফুটবল খেলা নিয়ে মারামারি হিসেবে অভিহিত করে চিহ্নিত বখাটেদের বাঁচাতে চাইছেন।
তবে বিষয়টির ব্যাপারে অবগত হয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী এরশাদের মা, স্ত্রী ও সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।