চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কোভিড-১৯ জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহানগরীর অস্বচ্ছল ও কর্মহীন ২ হাজার পরিবারের জন্য উপহার সামগ্রীর (ত্রাণ) প্যাকেট প্যাকেজিং, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ থেকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে আসা ও রাস্তায় অবস্থান নেয়া অভূক্ত লোকজনসহ মোট ১ হাজার মানুষের জন্য দু’বেলা রান্না করা খাবার সামগ্রী পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। আজ ২৯ জুলাই ২০২১ ইংরেজি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তিনি পরিদর্শনে যান। জেলা প্রশাসনের এডিসি, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য সার্কিট হাউজে স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে সরকারের পক্ষ থেকে ২ হাজার প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী প্যাকেজিং করা হচ্ছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতি প্যাকেট উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ১ কেজি পিঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবন, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ১টিঁ সাবান। এছাড়া টানা ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা লোকজন ও রাস্তায় অবস্থানকরা অসহায় অভূক্ত ১ হাজার মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কিট হাউজের রন্ধনশালায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার রান্না করা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের জন্য প্রতিদিন দু’বেলা ডিমসহ ভূনা খিচুড়ির ও বিশুদ্ধ মিনারেল ওয়াটার বিতরণ করা হচ্ছে। দুপুর ১ হাজার ও রাতে ১ হাজার রান্নাকরা খাবার প্যাকেট বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে যারা না খেয়ে কষ্টে আছে বা কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও ধনার্ঢ্য ব্যক্তিদেও এগিয়ে আসার আহবান জানান ডিসি।
ডিসি আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের মন্ত্রী পরিষদ ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালীন সময়ে একেবারে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনদেরকে সরকারী সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সমাজের অস্বচ্ছল কেউ যাতে অভূক্ত না থাকে তা দেখার জন্য জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা আমাদের সকলের প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সমাজের কর্মহীন মানুষের পাশাপাশি এডভোকেট ক্লার্ক, ভাসমান দোকানদার, নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, ছিন্নমুল, হিজড়া জনগোষ্ঠী, দুস্থ, হতদরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। যতদিন লকডাউন থাকবে ততদিন অসহায়-অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।###