চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দীদের মধ্যে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ ও সেবা প্রদানে ভবিষ্যত করণীয় কর্মসূচি সম্পর্কে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহিতকরণ কর্মশালায় আজ ৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস-এসটিডি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের আওতায় আর্ন্তজাতিক অঙ্গীকার ২০৩০ সালের মধ্যে এইডস নির্মূল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, বিভাগ, দপ্তর ও বেসকোরী প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী সম্পৃক্ততার জন্য এ্যাডভোকেসী সভার আয়োজন করে আসছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা উপ-মহাপরিদর্শক এ.কে.এম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর (টিবিএল ওএইডস-এসটিডি প্রোগ্রাম) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শামিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবীর। রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্ণেল মোঃ আবরার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান। কর্মশালায় কারাগারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, এইচআইভিএকটি ভাইরাস যা শুধু মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। এইডস ও এইচআইভি সৃষ্ট কতগুলো রোগের লক্ষণ এবং এটা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে অনেক লোক মারা যাচ্ছে। হেপাটাইটিস-বি যেভাবে ছড়ায়, এইডসও সেভাবে ছড়ায়। ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ড্রাগ নিলে এ রোগ মারাত্বকভাবে ছড়ায়। কারাবন্দীদের মাঝে কারো শরীরে এইচআইভি ভাইরাস আছে কি না তা একমাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা সম্ভব। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এইডস নির্মূল করা সম্ভব নয়। এটি প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। এইডস প্রতিরোধে সর্বত্র ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখে জনগণকে সচেতন করতে হবে। বাঁচতে হলে জানতে হবে, জানতে হলে বুঝতে হবে। এইডস নিয়ন্ত্রণে থাকলে সুস্থ ও সুন্দর জাতি গঠন সম্ভব। আমরা এইডসমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।###