সিনিউজ ডেস্ক
মাস বয়সের ওই শিশু সন্তানের জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র। চিকিৎসায় জন্য ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। সেই চিকিৎসার অর্থের আশায় স্বামীসহ কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের নিকট হতে অর্থ সাহায্য চাইতেন। সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন আশিকুল ইসলাম আশিকের চক্র। না পেয়ে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাব জানায়, এ ঘটনার আগের দিনই ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় আশিকের।
আজ সোমবার সকালে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান র্যাবের মুখপাত্র খন্দকার কমান্ডার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আশিক কক্সবাজারে পর্যটক এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের মূল হোতা। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ৩০-৩৫ জন। বিগত ২০১২ সাল হতে কক্সবাজার পর্যটক এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সে প্রথম ২০১৪ সালে অস্ত্রসহও গ্রেপ্তার হন। সে ও তাঁর সিন্ডিকেট পর্যটন এলাকা কক্সবাজারে চুরি, ছিনতাই, অপহরণ, জিম্মি, চাঁদাবাজি, জবরদখল, ডাকাতি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। সে পর্যটন এলাকায় বিভিন্ন হোটেলে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগসাজশে পর্যটকদের ফাঁদে ফেলে জিম্মি করত।
গত বুধবার সন্ধ্যায় সংঘবদ্ধ একটি চক্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ২৫ বছর বয়সী এক নারী পর্যটককে তুলে নেয়। তারা তাঁর স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ও হত্যার হুমকি দিয়ে কয়েক দফা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়।
পরে খবর পেয়ে গভীর রাতে কক্সবাজারের জিয়া গেস্ট ইন নামের এক হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই নারীর স্বামী চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে ম্যানেজার রিয়াজও রয়েছেন। আসামিরা কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন—আশিকুর রহমান ও তাঁর তিন সহযোগী ইস্রাফিল খোদা ওরফে জয় ও মেহেদি হাসান ওরফে বাবু এবং হোটেল ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। আসামিদের মধ্যে জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ নিয়ে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।