বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার ৩৫ লাখ মানুষের নামে মামলা দিয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম-খুন করা হচ্ছে। মামলা-গুম-খুন করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার পতনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চট্টগ্রাম থেকেই নতুন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
তিনি গতকাল রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ‘মুক্তিযুদ্ধের সূচনা সমাবেশে’ এ মন্তব্য করেন তিনি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বিএনপির জাতীয় কমিটির চট্টগ্রামের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন। ইচ্ছে করলেই জিয়াকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না।
এসময় পুলিশকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক। আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এখন আর কার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে তা দেখার বিষয়। তাদের নির্দেশে গুম-খুন হয়েছে। এখন জনগণের নিষেধাজ্ঞা আপনাদের ওপর আসবে। এই নিষেধাজ্ঞা লজ্জার।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করেছে। দিনের ভোট নেয় রাতে। ১৫৪ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার গঠন করেছে। এখন সময় এসেছে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও আওয়ামী লীগ সরকার ডিগবাজি খেয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বলেছে রাশিয়ার যুদ্ধে ভোট দেবে না। কয়দিন আগে আমেরিকা থেকে ধমক খেয়ে ইউক্রেনকে ভোট দিয়ে দিয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের বিচার ও পুলিশ বিভাগ, আইনের শাসনকে নষ্ট করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইন ধরেছে মানুষ। দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। যারা পণ্যের দাম বাড়িয়েছে তারা আওয়ামী লীগের, যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে তারাও আওয়ামী লীগের। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদল সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকুসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।