চট্টগ্রাম মেডিকেল

জেনারেল হাসপাতালে বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন

নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে গত ১৮ নভেম্বর শনিবার থেকে আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার পর্যন্ত বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সচেতনতা সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন হই, সকলে মিলে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স প্রতিরোধ করি’।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. এইচএম হামিদুল্লাহ মেহেদী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা জামাল, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. পলাশ নাগ, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মৌমিতা দাশ প্রমূখ। চিকিৎসক-কর্মচারীবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ও উপ-পরিচালক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, এন্টিবায়োটিক একটি রোগ প্রতিরোধক ওষুধ, যা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এন্টিবায়োটিক সঠিকভাবে সেবন না করলে শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয় যাতে করে মানবদেহে এন্টিবডি তৈরির বিপরীত ঘটনাও ঘটতে পারে। রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া রোগীকে এন্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ প্রদান ও বিক্রি করা হতে বিরত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফাংগাল ইনফেকশন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এন্টিফাংগাল রেজিস্ট্যান্স থেকে বাচঁতে মাস্ক পরিধান করতে হবে। রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী এন্টিফাংগাল ঔষধের ফুল কোর্স সম্পন্ন না করা ও জনবহুল পরিবেশ অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন এন্টিফাংগাল রেজিস্ট্যান্সের অন্যতম কারণ। অনিয়ন্ত্রিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানব শরীর অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (অকার্যকর) হয়ে উঠছে। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত ভীতিকর। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হতে পারে। ###

Related Posts