চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে নগরীর সার্কিট হাউজে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান ও ইফতার মাহফিল গতকাল ২৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার ২০৩ জন ও মহানগরীর ১৩৫ জনসহ মোট ৩৩৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট, প্রাইজবন্ড ও উপহার সামগ্রী দিয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার রাজীব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মাহফুজুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ্, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, আজ থেকে তিপ্পান্ন বছর আগে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধুমাত্র দেশপ্রেমের বলে মুক্তিযোদ্ধারা নিজের অস্তিত্বকে বিলিয়ে দিয়ে অস্ত্রে ও প্রশিক্ষণে সমৃদ্ধ পাক বাহিনীকে হারিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। একজন মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় নিজের জীবন। কিন্তু আপনারা নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবেসেছিলেন দেশকে ও জাতিকে। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঋণ কোন দিন শোধ হবে না, হবার নয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রামের খুলশীতে অবস্থিত বধ্যভূমি পাশের একটি জায়গায় সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও একটি বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের মামলার কারনে এতদিন করা সম্ভব হয়নি। সে মামলা এখন নিষ্পত্তি হয়েছে জানিয়ে আশ^স্ত করে বলেন, খুলশীর বধ্যভূমি সংরক্ষণ এখন সময়ের দাবি। এছাড়াও তিনি চট্টগ্রামের সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।##