জাতীয় প্রেসনোট

কর্মচারীদের বৈষম্য নিরসনে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজিকে  স্মারকলিপি প্রদান

 

বৈষম্য নিরসনে ৮ দফা দাবি জানিয়ে সারাদেশের বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সকল কর্মচারীরা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে। গতকাল ২৫ আগস্ট রোববার সারাদেশ থেকে একযোগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে সকল কর্মচারীরা স্বাক্ষর করেন এবং প্রত্যেক দপ্তর প্রধানগণ ডিজি বরাবর অগ্রবর্তী করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন ও সংস্কারের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান রাজস্ব সংগ্রহ করে তা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হয়। সেবার মানোন্নয়নে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কিছুটা সংস্কার করা প্রয়োজন বলে সকল কর্মচারীরা মনে করেন।
দাবীগুলো হচ্ছে-১. অনতিবিলম্বে খসড়া নিয়োগবিধি ২০২২ চূড়ান্ত অনুমোদন করতে হবে। ২.অত্র অধিদপ্তর থেকে ৩১ জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে প্রেরিত ৪৩১৪ জনের সাংগঠনিক কাঠামো অতি দ্রæত বাস্তবায়ন ও ১ঃ৩ আকারে পদ সৃজন করতে হবে। ৩.বৈদেশিক মিশনগুলোর পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এ শতভাগ ডিআইপি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদায়ন করতে হবে। ৪. ফিডার পদ পূর্ণ হলে “সুপার নিউমারারি” পদ্ধতিতে পদোন্নতি দিতে হবে। ৫.কর্মচারীদের যাতায়াতের জন্য স্টাফ বাস ও বাসস্থানের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। ৬. দৈনিক ৮ ঘন্টার বেশি কাজ করলে ওভার টাইম দিতে হবে। ৭. নিজ জেলা বা পার্শ্ববর্তী জেলায় বদলির ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই সরকারী চাকুরীজীবি হলে একই কর্মস্থলে পদায়ন ও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য দ্রæত বদলী নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং ৮. ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ গঠনের অনুমোদন দিতে হবে।
কর্মচারীরা তাদের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত দাবীগুলো ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও ৬ থেকে ৮ পর্যন্ত দাবীগুলো ৭২ ঘন্টার মধ্যে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান কর্মচারীরা। দাবিগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়িত না হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মচারীরা পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করবেন।
উল্লেখ্য যে, চলতি ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃবৃন্দ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নূরুল আনোয়ার দুর্নীতির বিষয়টি স্বীকার করেন এবং দপ্তরের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরাই দুর্নীতিগ্রস্থ বলে মন্তব্য করেন। মূলতঃ কর্মচারীদের ঢালাওভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত উল্লেখ করায় তারা সংক্ষুব্ধ হয়ে স্মারকলিপির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে প্রতিবাদ জানান।###

Related Posts