প্রবাসী বিদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ ভার্চুয়াল সমাবেশে মিলিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক চেতনার গণতান্ত্রিক-ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনায় সর্বাত্মক সহযোগিতার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। সভার সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বাকসুর সাবেক জিএস ড. প্রদীপ রঞ্জন কর।

সভার প্রারম্ভে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সকলের পক্ষ থেকে ড: প্রদীপ কর স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন । এরপর নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্ন স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও প্রার্থনা পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি বসির উদ্দিন।

সভায় অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা-সহ সকলকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুকিত চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জুয়েল মোহাম্মদ জামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি বশির উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল হক, ডেমোক্রেট মোর্শেদ আলম, সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা সাদেকুল বদরুজ্জামান পান্না, আদুর রহিম বাদশা, এডভোকেট শাহ মো: বখতিয়ার আলী,এমএ করিম জাহাঙ্গীর, শরীফ কামরুল আলম হীরা, অধ্যাপিকা শাহনাজ মমতাজ, শাহিন আজমল, আক্তার হোসেন, কায়কোবাদ খান, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, শেখ জামাল হোসেন, ডা: কাঞ্চন, মো. কামাল প্রমুখ।

সভায় বক্তব্য প্রদানকারি বীর মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেন। ছাত্রলীগের ধারাবাহিক আন্দোলনের পথ ধরেই বঙ্গবন্ধুর ডাকে পাক হায়েনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের ব্যানারে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাও বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেন। ছাত্রলীগের সংগ্রামী ইমেজ সমুন্নত রাখতে নতুন প্রজন্মের সকলকে বাংলাদেশের ইতিহাস পাঠ করার অনুরোধ জানান।

Related Posts