চট্টগ্রাম

চসিক নির্বাচনে সংঘর্ষ-গোলাগুলি: নিহত ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ভোট চলকালিন তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে সহকারী রিটার্নিং অফিসার বশির আহমদ গণমাধ্যমকে জানান, ভোটকেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও সেখানে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ চলছে।

নিহতদের মধ্যে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে একজন মারা যান। নিহত ওই যুবকের নাম আলাউদ্দিন। নিহত আলাউদ্দিন কুমিল্লার সুলতান মিয়ার ছেলে।

বুধবার সকালে ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ইউসেফ আমবাগান টেকনিক্যাল স্কুলকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। এসময় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে একটি মোটরসাইকেল।

জানা যায়, সকাল ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের ওই ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী এবং বিদ্রোহী প্রার্থী মাহামুদুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মো. আলাউদ্দিন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরীর পাহাড়তলীর পশ্চিম নাছিরাবাদ বার কোয়ার্টার এলাকায় এক ভাইয়ের হাতে খুন হয়েছেন আরেক ভাই। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তারা দুই ভাই একই ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আগে থেকেই দুই ভাইয়ের বিরোধ ছিল। পাহাড়তলী এলাকায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল আমিনের কর্মী সালাউদ্দিন কামরুলের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তারই ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থী সাবের আহম্মদের কর্মী নিজাম উদ্দীন মুন্না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বলেন, সরাইপাড়ায় একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। মৃত্যুর কারণ পারিবারিক বিরোধ কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কামরুলকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

এদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে নিহত যুবক আলাউদ্দিনের মা আছিয়া বেগমের (৬০) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট কেন্দ্রে ছেলের নিহতের সংবাদ শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আছিয়া বেগম। পাহাড়তলী আমবাগান আবহাওয়া অফিসের পাশে তার নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু ঘটে বলে গণমাধ্যমকে জানান খুলশি থানার ওসি (তদন্ত) আফতাব আহমেদ।

Related Posts