ঢাকা অফিস
বিয়ে করেছেন প্রেম করে। পারিবারিক কলহের জেরে পাষণ্ড স্বামী স্ত্রীকে সাত টুকরো করে ময়লার স্তুপে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় ঘাতক জুয়েল আহমেদকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৭ মার্চ) দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকা থেকে মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে তাকে আটক করা হয়।
নিহত ওই গৃহবধূর নাম রেহেনা আক্তার (১৯)। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভপুর থানার পলাশ ইউনিয়নের কাচিরগাতি গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে। অন্যদিকে আটক জুয়েল আহমেদ সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বাম্ভরপুর উপজেলার পলাশ ইউনিয়নের কাচিরগাতি গ্রামের আবদুল বাতেনের ছেলে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ বলেন, ‘জুয়েল আহমেদ ও রেহেনা আক্তার সম্পর্কে বেয়াই-বিয়াইন। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তারা দুই বছর আগে বিয়ে করেন। গত দুই মাস ধরে তারা মনিপুর এলাকায় জাকিরের বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন। রেহেনা স্থানীয় আরাবী ফ্যাশনে চাকরি করতেন। জুয়েল চাকরি ছেড়ে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার পারিবারিক কলহের জেরে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রেহানাকে মারধর করলে সে অজ্ঞান পয়ে পড়েন। রেহানা মারা গেছে ভেবে গুম করতে জবাই করে মরদেহ ৭টি খণ্ড করেন। পরে খণ্ডগুলো বস্তায় ভরে রাতের আঁধারে একটি ময়লার স্তূপে লুকিয়ে রাখেন।’
ওসি বলেন, ‘ময়লার স্তূপে একটি বস্তা দেখতে পান প্রতিবেশী এক যুবক। জুয়েলের আচরণে সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ বস্তাভর্তি মরদেহের খণ্ডাংশগুলো উদ্ধার করে।
ওসি বলেন, ‘মরদেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’