নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচল না করলেও অন্য সব যান চলছে। সকাল থেকে রাস্তায় রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রাইভেট কারও ছিল। রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় চাকরিসহ নানা কাজে বের হওয়া মানুষকে দ্বিগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
বিধিনিষেধের মধ্যে কাঁচাবাজার, মুদির দোকানসহ ফুটপাতে মানুষের ভিড় রয়েছে। মাস্ক ছাড়া বেশির ভাগ মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ নগরে আটজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নেমেছেন।
গণপরিবহন না থাকার সুযোগে দ্বিগুণ তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে রিকশা অটোরিকশা। অটোরিকশায় উঠানামা ১৫০ টাকা। রিকশায় ৫০ টাকার নিচে ভাড়া নেই।
আন্দরকিল্লা মোড়ে সকাল নয়টার দিকে মামুন মিয়া চোখের চিকিৎসার জন্য ফয়’স লেক চক্ষু হাসপাতাল যাওয়ার জন্য রাস্তায় দাঁড়ান। আগে অক্সিজেন থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ১২০ টাকা ভাড়ায় ফয়’স লেকে যেতেন। আজ তাঁর কাছে চালক ৩০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন। এভাবে প্রায় সাতটি অটোরিকশার সঙ্গে তিনি দর-কষাকষি করেন। শেষমেশ ২৫০ টাকায় হাসপাতালে এসে পৌঁছান।
নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন শহীদ ইসলাম। নিউমার্কেট মোড় থেকে রিকশাভাড়া গুনতে হয়েছে ১২০ টাকা।
এভাবে প্রতিটি রুটে অতিরিক্ত ভাড়া অাদায় করা হয়েছে।
বাড়তি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে অটোরিকশাচালক সাজ্জাদ আলী বলেন, ‘পেটের দায়ে গাড়ি বের করা হয়েছে। পুলিশ দেখলে গাড়ি ধরছে। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি, তাই ভাড়াও বাড়তি নিচ্ছি।’
নগরের বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি, রেয়াজউদ্দিন বাজারে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয় সকাল থেকে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশির ভাগেরই সামাজিক দূরত্ব কিংবা মাস্ক নেই।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, নাগরিকেরা যাতে বিধিনিষেধ মেনে চলেন সে জন্য প্রথম দিন থেকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে রয়েছেন। গতকাল মাস্ক না পরা, দোকান খোলা রাখাসহ বিধিনিষেধ না মানায় ৫৩টি মামলা করা হয়। জরিমানাও গুনতে হয় অনেককে। আজও আটজন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সে জন্য সচেতন করা হচ্ছে।