সিনিউজ ডেস্ক
মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠছে করোনার ভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি। আইসিডিডিআর,বির এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার আইসিডিডিআর,বি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যমতে মার্চের শেষ সপ্তাহে দেশে করোনাভাইরাসের যে ধরনগুলো সক্রিয় ছিল, তার ৮১ শতাংশই দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়ান্ট।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট (B.1.351) এবং ব্রাজিলের ভ্যারিয়েন্ট (P1/P2) বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
আইসিডিডিআর,বি বলছে, দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট (B.1.351) এই তিনটি ধরনেরই সংক্রমণ ঘটানোর সক্ষমতা বেশি; জিনগত পরিবর্তনও ঘটেছে বেশি, যা রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতি এবং টিকার কার্যকারিতার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
আইসিডিডিআর,বির গবেষণায় দেখা যায়, মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরনটির সক্রিয়তা বাড়ছিল। সে সময় সক্রিয় সবগুলো ধরনের মধ্যে ৫২ শতাংশ ছিল ইউকে ভ্যারিয়েন্ট।
তবে মার্চের শেষ সপ্তাহে সক্রিয় সবগুলো ধরনের মধ্যে ৮১ শতাংশ ছিলই ছিল আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট।
গবেষকরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরন নিয়ে এখন নিয়মিত নজরদারি দরকার, কারণ রোগী ব্যবস্থাপনা ও টিকার কার্যকারিতার জন্য বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুব দ্রুত বাড়ছে। বুধবার একদিনেই ৭ হাজার ৬২৬ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দৈনিক শনাক্ত রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা। আগের দিন মঙ্গলবার এক দিনে রেকর্ড ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এ ভাইরাসে।
দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জনে। তাদের মধ্যে ৯ হাজার ৪৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।