আইন আদালত আন্তর্জাতিক লিড নিউজ

কলকাতার আদালতে বাংলাদেশি জঙ্গির ৭ বছর কারাদণ্ড

 

কলকাতা প্রতিনিধি

বাংলাদেশি এক জঙ্গিকে সাত বছর কারাদণ্ড দিয়েছে কলকাতার এক আদাকত। আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) সক্রিয় সদস্য রিয়াজুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩০) নামে এই জঙ্গি আদালতে দোষ স্বীকার করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হল। বৃহস্পতিবার কলকাতার এনআইএ’র বিশেষ আদালতের বিচারক পার্থসারথি সেন বাংলাদেশি ওই জঙ্গিকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বিচারক ওই সাজার সঙ্গে ৩৭ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। আদালত ওই জঙ্গির বিরুদ্ধে অন্যান্য ধারাতেও পৃথক পৃথক সাজা দেয়। তবে বিচারকের মন্তব্য, সমস্ত সাজা একই সঙ্গে চলবে।
এনআইএ’র বিশেষ সরকারি আইনজীবী দেবাশিস মল্লিক চৌধুরী এদিন জানান, এই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল পাঁচজন। ইতিমধ্যে দুই জঙ্গি আদালতে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। রিয়াজুল ইসলামও কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এদিন সাজাপ্রাপ্ত হল। বাকি দুই অভিযুক্ত বর্তমানে জেল হেফাজতে আছে। তাদের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। সরকারি আইনজীবী জানান, দোষী সাব্যস্ত রিয়াজুলের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনার কাশিমনগরে। ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর রিয়াজুল সহ পাঁচ এবিটি জঙ্গি কলকাতা স্টেশন থেকে ধরা পড়ে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অফিসারদের হাতে। পরে ওই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ছাড়াও‌ ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি, অনুপ্রবেশ সহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ করে পাঁচ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এনআইএ আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জ গঠন প্রক্রিয়ার শেষে শুরু হয় বিচার। মামলার শুনানি পর্ব চলাকালে ওই জঙ্গি আদালতে তার আইনজীবী মারফৎ পিটিশন দাখিল করে ঘটনার দায় স্বীকার করে। ওই জঙ্গি আদালতে বিচারকের কাছে কম সাজা দেওয়ার জন্য সওয়ালও করে। আদালতে রিয়াজুলের পেশ করা পিটিশনের উপর দীর্ঘ শুনানি চলে।
সরকারি আইনজীবী আদালতে বলেন, এবিটিএ’র সক্রিয় সদস্য এই জঙ্গিরা সম্মিলিতভাবে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে নানা অসাধু কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার আগেই তারা ধরা পড়ে যায়। ফলে তাদের উদ্দেশ্য বানচাল হয়। তাই সমস্ত কিছু বিচার বিবেচনা করে আদালত এই জঙ্গির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করুক। সরকারি আইনজীবী ও ধৃতের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর বিচারক এদিন জঙ্গি রিয়াজুলকে দোষী সাব্যস্ত  করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করার নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জঙ্গির কোনও নিজস্ব আইনজীবী না থাকায় কোর্টের নির্দেশে কলকাতা জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্র (লিগ্যাল এইড) থেকে দীপঙ্কর দাস পট্টনায়ক নামে এক আইনজীবীকে নিয়োগ করা হয়। যদিও এদিন ওই আইনজীবী বলেন, রায়ের কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করব না।

 

Related Posts