প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মুজিবশতবর্ষে একজন
লোকও গৃহহীন থাকবেনা ঃ জেলা প্রশাসক
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, “মুজিবশতবর্ষে একজন লোকও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ (দুই) শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী ১ম পর্যায়ে সারাদেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর বরাদ্দ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ঐসময় চট্টগ্রাম জেলায় ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ (দুই) শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আগামী ২০ জুন রোববার সারাদেশে ৫৩ হাজার ৩৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২য় পর্যায়ে ঘর প্রদান করা হবে। ঐদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের এর মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ মহতী কার্যক্রমে চট্টগ্রাম জেলার ১৩ টি উপজেলার ৬৪৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ২নং বেতাগী ইউনিয়নের বহলপুর গ্রামে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের এর মাধ্যমে সংযুক্ত হবেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস.এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাজমূল আহসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোছাঃ সুমনী আক্তার, আরডিসি সুজন চন্দ্র রায়, স্টাফ অফিসার টু ডিসি উমর ফারুক, এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বহলপুরে একসাথে ৩০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ অনন্য উদ্যোগে এখন শামিল হবার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ এগিয়ে এসেছেন। ইতোমধ্যে বেসরকারি উদ্যোগে চট্টগ্রাম জেলায় ১২০টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প খাতে অর্থ অনুদান দিচ্ছেন। অচিরেই বেসরকারি অনুদানে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করা হবে।
ডিসি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প থেকে প্রদত্ত নমুনা মোতাবেক কবুলিয়ত দলিল, নামজারী, ও গৃহ প্রদানের সনদ প্রতিটি উপকারভোগীদের মাঝে পৃথক ফোল্ডার করে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্বে চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলার মধ্যে ১৩টি উপজেলায় মোট ৬৪৯টি ঘর প্রস্তÍুত করা হয়েছে। তন্মধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৫০টি, পটিয়া উপজেলায় ৩০টি, চন্দনাইশ উপজেলায় ২৭টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ১০টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ১৫০টি, বাঁশখালী উপজেলায় ১৪টি, কনর্ফুলী উপজেলায় ৫টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ২০ টি, রাউজান উপজেলায় ২৪৮টি, হাটহাজারী উপজেলায় ১০টি, আনোয়ারা উপজেলায় ৫০টি, মীরসরাই উপজেলায় ২৫টি, সীতাকুন্ড উপজেলায় ১০টি। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের বহলপুর গ্রামে আগামী ২০ জুন ২০২১ ইংরেজি রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, ভূমি মন্ত্রী, মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী, সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করলেন স্বাধীন বাংলাদেশ। যুদ্ধ বিধ্বস্ত নবীন দেশে ১৯৭২ সালের ফেব্রæয়ারিতে নোয়াখালী সফরে গিয়ে আশ্রয়হীনদের প্রথম পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতার কন্যা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ১ম সরকার গঠনের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়হীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারি অর্থায়নে প্রথম উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেন“আশ্রয়ণ প্রকল্প”। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাসস্থান নিশ্চিতের ঘোষনা দেন। সরকারি উদ্যোগে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদানের এ নজির প্রথিবীর বুকে অনন্য। একসাথে একই দিনে এতসংখ্যক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে জমি সহ ঘর দেয়ার নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। ####