আইন আদালত জাতীয়

বিআরটিএর কর্মকর্তার ১৩ কোটি টাকার সম্পদ!

 

সিনিউজ ডেস্ক

চাকরিতে যোগদানের মাত্র ৬ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) একজন সহকারী পরিচালক প্রায় ১৩ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই সহকারী পরিচালকের নাম মো. ফারহানুল ইসলাম।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ফারহানুল ইসলাম ও তার ভাই রায়হানুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। বুধবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এর উপপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার উল্লেখ করা হয়, সহকারী পরিচালক মো. ফারহানুল ইসলাম চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর ছয় বছরে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে এ টাকা অর্জন করেছেন।

আরও পড়ুন:

১৩০ টাকা বেতনের নুরুল ৪৬০ কোটি টাকা সম্পদের মালিক

দুদক সূত্র জানায়, মো. ফারহানুল ইসলাম ৫ নভেম্বর ২০১২ তারিখ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইউসিবিএল ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং আইডিএলসিতে সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব ও ক্রেডিট কার্ড হিসাবসহ মোট ১০টি হিসাব তার মা ও ভাইয়ের নামে পরিচালনা করেন। ইউসিবিএল এবং সোনালী ব্যাংক ব্যতীত বাকি আটটি হিসাবে ১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা লেনদেন করেন। যার মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখার সঞ্চয়ী হিসাবেই জমা করেন ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। একই শাখার চলতি হিসাব ১৪ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ভিসা ক্রেডিট কার্ডের হিসাবে ১৮ লাখ টাকা ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাস্টার ক্রেডিট কার্ড হিসাবে ২৮ লাখ টাকা পাওয়া যায়।

এছাড়া মো. ফারহানুল ইসলাম তার ভাই মো. রায়হানুল ইসলাম এর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা, ডাচ বাংলা ব্যাংক বসুন্ধরা শাখার একটি সঞ্চয়ী হিসেবে ১১ লাখ টাকা লেনদেন করেন।

একইভাবে অভিযুক্ত মো. ফারহানুল ইসলাম তার মা লুৎফুন নাহারের নামে ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর মিরপুর-১০ সার্কেল শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবে এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের গৃহ ঋণ হিসাবে চার কোটি আট লাখ টাকা লেনদেন করেন।

 

Related Posts