উপজেলা চট্টগ্রাম

চন্দনাইশে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুণ আল জাফর চৌধুরী সড়ক উদ্ভোধন 

 

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ন অবদানের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের নিকট স্মরণীয় করে রাখতে বর্তমান সরকার নানবিধ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। ২০০৮ সালে সরকার গঠনের পর নির্দিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মাসিক তিনশত টাকা হারে দেয়া ভাতা সার্বজনীন বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার সব মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার আওতায় এনে সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাতা বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসব ভাতা, সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ, যানবাহনে আসন সংরক্ষণ, হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা, বীর নিবাস প্রকল্পের আওতায় বিনা মূল্যে উন্নত মানের গৃহনির্মাণ করে দেয়াসহ কল্যাণকর নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে ২৬ মার্চ বিকেলে গাছবাড়িয়া খানহাট প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরী সড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী একথা বলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দানকালে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ড নেতৃবৃন্দ সড়কটির অবশিষ্ট অংশও বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরীর নামে বর্ধিতকরণের দাবি জানান।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমান্ড কাউন্সিলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদুল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাস উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চন্দনাইশ উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস ইসলাম খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি কফিল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক এ এস এম সেলিমুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মনজুরুল ইসলাম , সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর দাস, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক উজ্জ্বল কুমার শর্মা, আবু জাফর, কেন্দ্রীয় সদস্য সুবর্ণা হক, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, চন্দনাইশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ইঞ্জিনিয়ার মনজুর উল ইসলাম চৌধুরী, হাসিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা সুব্রত বড়ুয়া, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী, ইউপি সদস্য ফজলুল করিম আয়ুবসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে চন্দনাইশের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরীর বীরত্বপূর্ন অবদানের কথা স্মরণ করে নজরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, দেশ মাতৃকার টানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দানের কাজ আওয়ামী লীগ সরকার আগামীতেও অব্যাহত রাখবে। তিনি স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কাজ হতে বিরত থাকার এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় দেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের অপতৎপরতার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক থাকার আহবান জানান।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার ২০২১ সালের ১১ জানুয়ারি সড়ক বিভাগের আওতাধীন খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান মহাসড়কের একাংশ চন্দনাইশের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরী’র নামে নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

Related Posts