চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন কলকাতা ফ্লাইট চালু করছে ভারতীয় বাজেট এয়ারলাইনস ‘স্পাইস জেট’। আগামী ২১ এপ্রিল থেকে সরাসরি এই ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। এর ফলে ভারতগামী পর্যটক এবং রোগীদের ভোগান্তি কমবে। কিন্ত প্রতিযোগী ফ্লাইট না থাকায় ভাড়া কতটা কমবে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
এতদিন চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে মাত্র একটি বিমান সংস্থা ‘স্পাইস জেট’ ফ্লাইট পরিচালনা করছিল; তখন বিমান সংস্থাটির সপ্তাহে চারটি ফ্লাইট ছিল। গত ২৭ মার্চ থেকে হঠাৎ করেই এই ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা সরাসরি যাওয়ার সুযোগ বঞ্চিত হন যাত্রীরা। প্রায় ২৬ দিন পর আবারো ফ্লাইট শুরু হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্পাইস জেট চট্টগ্রাম প্রধান আসিফ চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ২১ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে। এতে করে আমরা আরো বেশি যাত্রী পরিবহন করতে পারবো। তবে আপাতত ৭৮ আসনের ড্যাশ উড়োজাহাজ দিয়েই ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে বড় উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার চিন্তা আছে।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পৌঁছবে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে। আর চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে সকাল সাড়ে ১০টায়। মাত্র ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে কলকাতায় পৌঁছবে বিমানটি।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে দুটি বিমান সংস্থা সরাসরি ভারতে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। একটি হচ্ছে ভারতীয় বিমান সংস্থা ‘স্পাইস জেট’; যেটি চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে; আরেকটি হচ্ছে, চট্টগ্রাম-চেন্নাই রুটে বাংলাদেশি বিমান সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস। কিন্তু সেই ফ্লাইটটি অনিয়মিত। করোনা মহামারির আগে চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা যেতো তিনটি বিমান সংস্থা। এখন মাত্র একটি।
স্পাইস জেট চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে এমন এক সময়ে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ালো যখন ভারত যেতে পর্যটকদের ভিসা উম্মুক্ত করেছে ভারত সরকার। আর ২৭ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম-ভারত এয়ার বাবল চুক্তি নেই। করোনা মহামারিরর আগের মতোই দুদেশের যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলতে কোন বাধা নেই। এরপরও অন্য বিমান সংস্থার ফ্লাইট চালু না করাটা রহস্যজনক। এর ফলে কলকাতা যেতে ভাড়া বেশি গুনতে হবে যাত্রীদের।
অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি শেয়ার ট্রিপের হিসাবে, ২৬ এপ্রিল স্পাইস জেটের চট্টগ্রাম-কলকাতা আসা-যাওয়ার ভাড়া সাড়ে ১৯ হাজার টাকা। এই ভাড়ার মধ্যে ২০ কেজি ওজনের লাগেজ বহনের সুযোগ আছে। এর বাইরে লাগেজ নিতে হলে বাড়তি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
জানতে চাইলে ট্রাভেল এজেন্সি ম্যানহাটন ট্রাভেলসের কর্ণধার মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন তো বাংলাদেশ-ভারত এয়ার বাবল চুক্তি উঠে গেছে, প্রচুর পর্যটক ভিসা পাচ্ছেন সুতরাং অন্য বিমান সংস্থাগুলো এখনই ফ্লাইট চালানো শুরু করছে না তা আমার বোধগম্য নয়। একাধিক বিমান সংস্থা থাকলে প্রতিযোগিতা হবে। ভালো সার্ভিস পাবেন যাত্রীরা, ভাড়াও তুলনামূলক নাগালের মধ্যে আসবে। এতে যাত্রীরাই লাভবান হবেন।
সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ