চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন,জলাবদ্ধতা নিরসনে অঙ্গীকার

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। রোববার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তাকে শপথ পড়ান। সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শপথ নিয়েই জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অঙ্গীকার করেন।
শাহাদাত বলেন, ‘চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সংকট নিরসন করে চট্টগ্রামকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গি ও সন্ত্রাসের কথা বলে, দেশের পর্যটন খাতকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ খাতকে ঠিকমত ব্যবহার করা যায়নি।’ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে চট্টগ্রামে পর্যটক খাতের উন্নয়ন করার কথা জানিয়েছেন বিএনপির সাবেক এই নেতা।
গত ১লা অক্টোবর চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। এরপর ৮ই অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে চসিক মেয়র হিসেবে সংশোধিত প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে দায়ের করা মামলার রায়ে বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে চট্টগ্রামের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। গত ১ অক্টোবর এ ঘোষণা দেয়া হয়। ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি করেন শাহাদাত। মামলার এজাহারে তার অভিযোগ, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনের ফলাফলে ইসি কর্মকর্তারা ‘কারচুপি’ করেছিলেন। মামলায় তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান।

শাহাদাত আরও অভিযোগ করেন, তিনটি ভোটকেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হলেও তিনদিন পর ২৮টি কেন্দ্রে তার শূন্য ভোট দেখানো হয়—যা অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয়। ওই মামলায় তৎকালীন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।

Related Posts