নিজস্ব প্রতিবেদক:
আরো প্রায় ১৫০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। শনিবার সকালে এই দলটি নগরীর পতেঙ্গা এলাকা থেকে চারটি জাহাজে করে যাত্রা শুরু করে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক।
নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য শুক্রবার দুপুরে তাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আনা হয়।
রিয়ার এডমিরাল মোজাম্মেল হক বলেন, “আজ (শনিবার) সকালে ৯টায় তারা রওনা হয়েছেন। অন্য একটি জাহাজে করে তাদের মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব জাহাজের সঙ্গে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের দু্টি জাহাজ ও চারটি স্পিডবোট সঙ্গে আছে বলে জানান তিনি।
এর আগে শুক্রবার ১ হাজার ৭৭৬ জনের একটি দল ভাসানচরে গিয়ে পৌঁছায়। তাদের বৃহস্পতিবার কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছিল।
নিয়ে চতুর্থ দল ভাসানচরে যাচ্ছে, যেখানে এই শরণার্থীদের জন্য উন্নত আবাসের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
প্রথম দফায় গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন এবং দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।