নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৮নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরসহ ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন খান।
অপর আসামিরা সবাই কাদেরের সহযোগী। তারা হলেন— এম কে কবির হেলাল উদ্দিন (৪০), ওবায়দুল কবির মিন্টু (৪০), আসাদুজ্জামান নূর রায়হান (২৯), ইমরান হোসেন ডলার (২৪), দিদার উল্লাহ দিদু (৪৮), মিনহাজ হোসেন ফরহাদ (২০), শহীদুল আলম সাহেদ (৩৭), জাহিদুল আলম জাহিদ (২৫), শহিদুল ইসলাম (৩৩), আব্দুর রহমান (৪৪)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন খান বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এর আগে বুধবার সকালে ডবলমুরিং থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নিহত আজগর আলী বাবুলের ছেলে সেজান মাহমুদ সেতু। মামলাটি তদন্ত করছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে পাঠানটুলীর মগপুকুর এলাকায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলিতে স্থানীয় মহল্লা সর্দার আজগর আলী বাবুল নিহত হয়।
এ ঘটনার জেরে রাতে চসিকের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫ জনকে বুধবার যাচাই-বাছাই শেষে দুপুরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে পাঠানটুলীর মগপুকুর এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলিতে স্থানীয় মহল্লা সর্দার আজগর আলী বাবুল নিহত হন। একই ঘটনায় মাহবুব নামে আরেক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।