গণমাধ্যম লিড নিউজ

কেডিএস গ্রুপের হয়রানীর বর্ণনা দিলেন সাবেক পরিচালক মুনির

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

শিল্প প্রতিষ্ঠান কেডিএস গ্রুপের মালিকানাধীন কেওয়াই স্টিল মিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মুনির হোসেন খান। যার হাত ধরে এ প্রতিষ্ঠানটি উন্নতির শিখরে উঠেছে, তার বিরুদ্ধেই দেওয়া হলো একের পর এক ২৮টি মিথ্যা মামলা। দীর্ঘ এক বছর বিনা বিচারে জেল খেটে সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে কেডিএস গ্রুপের হয়রানী সিথ্যা মামলায় তার নিজের এবং পরিবারের করুণ সব ঘটনা।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এম এম রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি এবং ঘটনার বর্ণনা দেন কেডিএস’র সাবেক এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, বন্ধুর অনুরোধে ২০০৭ সালে ব্যাংক অব আমেরিকা ফ্লোরিডার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে কেডিএস গ্রুপে যোগ দিয়েছিলাম। প্রায় ১১ বছর রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে কে ডিএস এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কে ওয়াই সিআর কয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং কেওয়াই স্টিল লিমিটেডকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ঢেউটিন উৎপাদনকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। বিনিময়ে জুটেছে ৯ মাসে ২৮টি মামলা এবং এক বছরের জেল। আদালত থেকে জামিন নিয়ে আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের এবং পরিবারের সেই করুণ ঘটনা তুলে ধরেন কেডিএস এর সাবেক পরিচালক মুনির হোসেন খান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার প্রসারের জন্য দিন-রাত কাটাতেন কারখানা কিংবা অফিসে, সেই প্রতিষ্ঠানেরই কর্তাব্যক্তির রোষানলে পড়ে তার জীবনের ্খএকটি বছর বিনা বিচারে কারাগারে কাটাতে হয়েছে। এসব মামলায় যখনই তিনি জামিন পান, তখনই তার নামে দেওয়া হয় নতুন মামলা। শুধু মুনির হোসেন খানই নন, কেডিএস গ্রুপের এসব মামলার আসামি করা হয়েছে তার বাবা মোয়াজ্জেম হোসেন খান ও তার ছোট ভাইকেও। অথচ তারা কখনও কেডিএস কর্মকর্তা ছিলেন না।

অভিযোগে তিনি বলেন, কেডিএস গ্রুপ শুধু টাকার জোরে বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে তার বিরুদ্ধে মাত্র নয় মাসে দিয়েছে ২৮টি মামলা। বিনাবিচারে তাকে এক বছর জেলও খাটতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের দ্বিতীয় ছেলে বিদেশি নাগরিককে খুন করে যাবজ্জীবন সাজা খাটা ইয়াসিন রহমান টিটুর হাতে মুনিরকে খেতে হয়েছে কিল-ঘুষি-লাথিও।

মুনির হোসেন খান বলেন, ‘বন্ধুর অনুরোধে ২০০৭ সালে ব্যাংক অব আমেরিকা ফ্লোরিডার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে কেডিএস গ্রুপে যোগ দিয়েছিলাম। প্রায় ১১ বছর রক্ত-ঘাম ঝরিয়ে কেডিএসের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কে ওয়াই সিআর কয়েল ইন্ডাষ্ট্রিজ এবং কেওয়াই স্টিল লিমিটেডকে দেশের শীর্ষস্থানীয় ঢেউটিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছি। বিনিময়ে জুটেছে ৯ মাসে ২৮টি মামলা এবং এক বছরের জেল।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল কোম্পানির ডিএমডি ইয়াছিন রহমান টিটু কর্তৃক মারধরের শিকার হয়ে চাকরি ছাড়ার পর তিনি তাদের রোষাণলে পড়ি। টাকার জোরের কাছে তিনি বিপন্ন উল্লেখ করে বলেন, গত ২৮ নভেম্বর কেডিএস গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান কে ওয়াই স্টিলের পক্ষে তাদের চিফ অপারেশন অফিসার জাবির হোসাইন সাংবাদিক সম্মেলন করে ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন। শুধু তাই নয় চাকুরী ছাড়ার ২০ মাস পর ২০১৯ সালের নভেম্বর নজিরবিহীনভাবে ৯ মাসে ২৬ টি মামলা ক্রিমিনাল ও দুইটি সিভিল মিথ্যা মামলা করেছে। আইনের অপব্যবহার করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একেক সময় একেক ধরনের কুৎসাও রটাচ্ছে। যা বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম মামলা ছিল গাড়ি চুরি ও হত্যা চেষ্টা। বায়েজিদ থানায় দায়েরকৃত মামলাটিতে যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে সেসময় তিনি ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ছিলেন। ওই মামলা তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর একবছর জেলে ছিলেন। সম্প্রতি মামলাটির ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ। অর্থাৎ অভিযোগ মিথ্যা। তাদের আরেকটি অভিযোগ হল এইচ আর কয়েল আমদানিতে গোপন চুক্তির মাধ্যমে ৬০০ কোটি টাকা কমিশন খাওয়া। যা হাস্যকর।

এত টাকা কোন ব্যক্তির কাছে থাকলে তা কোন না কোন সরকারি সংস্থার চোখে পড়বেই। দেশে কিংবা বিদেশে আমার এবং আমার পরিবারের এই ধরণের কোনো সম্পত্তি নেই। তাছাড়া অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়ে পণ্য আমদানি করলে কাস্টমস এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কেওয়াই স্টিল অথবা কেওয়াই স্টিল ইন্ড্রাস্টিজকে টাকা পাচারের অভিযোগে অনেক আগেই ব্যবস্থা নিত। বর্তমান চিফ অপারেশন অফিসার (সিওও) জাবির হোসাইন বিভিন্ন জাল ও ভূয়া কাগজ পত্র তৈরি করেই কেডিএস কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করে নিজে ফায়দা লুটছে। কারণ কমিশন খাওয়ার অভিযোগ করলেও ওই কমিশন কোন ব্যাংকের মাধ্যমে খেলাম বা কোথায় রাখলাম তার কোন তথ্য নেই। তিনি যে চুক্তি দেখাচ্ছেন তা জাল এবং অসম্পূর্ণ। কে ওয়াই স্টিলের সংবাদ সম্মেলনে জাবির হোসাইন একটি অনলাইন মার্কেটিং কোম্পানির বাজার মূল্য বেশি দামে পণ্য কেনার দেখিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। বাস্তবে আমার কাছে সে সুযোগ ছিল না। কারণ কেডিএস এর ব্যাংক একাউন্ট থেকে সরাসরি রপ্তানিকারককে টাকা দেয়া হয়েছে এলসির মাধ্যমে। অন্যদিকে যে বাজারমূল্য প্রদর্শন করছে তাও সঠিক নয়।

অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সারাবিশ্বের স্ট্যান্ডার্ড এইচ আর কয়েলের একটি সম্ভাব্য বাজার মূল্য দিয়ে থাকে। কিন্তু কিনতে গেলে গুনগত মান, থিকনেস এবং দেশের দুরত্ব ইত্যাদি বিবেচনায় দামের কম-বেশি হয়। এর সাথে ভাড়া ও অন্যান্য খরচ ও যোগ হয়। তাই যে সংস্থাটি বাজার মূল্য দিয়ে থাকে তাদের ওয়েবসাইটেই বিষয়টি লেখা থাকে যে মূল্য তারা প্রদর্শন করছেন তা শুধু মার্কেট সম্পর্কে একটা ধারনা দেওয়া।

প্রকৃত মূল্য ভিন্ন হতে পারে। অথচ জাবির ওই ওয়েবসাইটের মূল্য দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে এত বড় একটি মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমি যেসময়ে এইচ আর কয়েল আমদানি করেছি তখন চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের আরো অনেক কোম্পানি এইচআর কয়েল আমদানি করেছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সেই সময়ের তথ্য যাচাই করলে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাছাড়া কয়েলের থিকনেস এবং গুনগত মান ও পরিমাণের উপরও দামের কম বা বেশি হয় এবং এই এইচআর কয়েলের মূল প্রতি মাসেই দর উঠানামা করে। এটি একটি খুবই ভোলাটাইল আমদানিকৃত পণ্য যা প্রমাণ আকারে দেখানো যাবে।

কেডিএস নতুনভাবে হয়রানি করছে এমন অভিযোগ করে মুনির হোসেন খান বলেন, তার বাবা চট্টগ্রাম বন্দরের একজন অবসরপ্রাপ্ত হারবার মাস্টার। বড়পুল এলাকায় তার বাবা ইসাবেলা টাওয়ার নামে একটি ভবন করেছেন তাও তিনি কে ওয়াই স্টিলে যোগদানের আগে। তিনি তার দীর্ঘ ১৭ বছর আমেরিকার জীবনে অনেকবার বাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ও করেছেন। তার প্রমাণাদিও কাছে উল্লেখ করে মুনির খান বলেন, কেডিএস সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে তার পরিবার থেকে কেউ যাতে কোন স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি না কিনে। যা সম্পূর্ণ মানহানিকর এবং বেআইনি। কারণ এসংক্রান্ত আদালতের কোন নির্দেশনা নেই।

তিনি বলেন, জাবির হোসাইন কিছু ভূয়া চুক্তিপত্র, আমার স্বাক্ষর এবং বিদেশি স্বনামধন্য কোম্পানির স্বাক্ষর জাল করে ফটোকপির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা দিয়ে হয়রানি এবং নাজেহাল করেছে। একটি মামলা থেকে জামিন হওয়ার আগেই আরেকটি মামলা দিয়ে আমাকে আটক রাখছে।

মুনির খান বলেন, কেডিএস তার মাসিক বেতন, সন্তানদের লেখাপড়া, বিদেশ ভ্রমণ এবং ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। বেতন কোথাও দুই লাখ টাক কোথাও তিন লাখ টাকা উল্লেখ করেছে। এর কোনটাই সত্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় প্রথমে একটি গাড়ি চুরির মামলা দেয় । মামলায় যে সময়টা উল্লেখ করা হয়েছে সে সময় আমি ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ছিল। ওই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ স্কুল থেকে সংগ্রহ করে আদালতে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এই মামলায় জামিনের জন্য উপস্থিত হলে তারা আরও দুটি ফৌজদারি মামলা দিয়ে তাকে জেলে পাঠায়। সেই থেকে মুনির খান জেলে এক বছর জেল খাটেন। তার একটি মামলায় জামিন হলে তার আগেই আরেকটি মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। গাড়ি চুরির মামলায় বায়েজিদ থানা পুলিশ তাকে তিনবার রিমান্ডেও আনে। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় পাঁচটি, ঢাকার গুলশান থানায় একটি এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৯টি মামলা করেছে কেডিএস গ্রুপ। এসব মামলার মধ্যে মুনির এখন ১৯টিতে জামিনে আছে। বায়েজিদ থানার গাড়ি চুরির মামলা ছাড়া বাকি সব মামলা প্রায় একই রকম অভিযোগ। এসব হয়রানিমূলক মামলার কথা জানিয়ে বাংলাদেশস্থ আমেরিকান দূতাবাসে চিঠি দিয়েছি। নিত্যনতুন মামলায় আমাকে ছাড়াও আমার ছোট ভাইকে আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে তারা প্রশ্ন তুলেছে, আমার মেয়ে কিভাবে ব্যয়বহুল ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে লেখাপড়া করছে। অথচ আমার সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ কেডিএস কর্তৃপক্ষই বহন করেছে। এই সকল কিছুরই তথ্যপ্রমাণাদি আমার কাছে আছে। তাছাড়া আমদানিকৃত মালামাল বন্দর থেকে ক্লিয়ারিং করতেন কে ডি এস অঙ্গপ্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠান প্রতি মাসে একই পণ্য খালাস করছেন। দেশের প্রখ্যাত অডিট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবছর এই প্রতিষ্ঠানের অডিট হত। কোন ধরনের আর্থিক অনিয়ম ঘটে থাকলে অডিট আপত্তি আসত।

তাছাড়া মাসিক অভ্যন্তরীণ অডিট রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে কোম্পানির গ্রুপ অডিট এবং সিএফও তৈরি করতেন এবং তা তাদের কাছেও যেত। দীর্ঘ ১১ বছরে আমার বিরুদ্ধে কোন অনিয়মের অভিযোগ কখনো আসেনি। প্রতিবছর ব্যবস্থাপনা পরিচালকে প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গ্রুপের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার এই কাজটি করতেন। সবসময় কোম্পানির ইন্টারনাল অডিট রিপোর্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অধিনেই ছিল। কখনো পরিচালক অথবা সিইও এর অধিনে ছিল না। আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে ৩০০ কোটি টাকার মূলধনের কোম্পানিকে ১৩০০ শত কোটি টাকার কোম্পানিতে পরিণত করেছি।

ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে আমার স্ত্রী নাকি বড় বড় শপিং মল থেকে কেনাকাটা করেছে এমন অভিযোগও তারা করেছেন। বাস্তবতা হল কোম্পানি আমাকে একটি ক্রেডিট কার্ড দিয়েছে ব্যবহার করার জন্য। এই কার্ড দিয়ে অফিসের জন্য অনেক সময় খরচ করেছি। মাঝে মধ্যে ব্যক্তিগত কোন খরচ করলে সেটা অফিস আমার বেতন থেকে কেটে নিত। বেতন বিল যাচাই করলেই তার সত্যতা মিলবে। আমার ব্যাংক একাউন্টের তথ্যপ্রমাণাদি দিলেই তা বিস্তারিত প্রমাণিত হবে। অফিসের টাকায় বিদেশ ভ্রমণের অভিযোগ আনা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে। যা সম্পূর্ণ অবাস্তব একটি অভিযোগ। আমার চাকুরির শর্ত অনুসারে আমার পরিবারের দেশে এবং দেশের বাইওে ভ্রমনের সমস্ত খরচ কোম্পানি বহন করবে।

প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরি করে কারো কর্মকর্তার ইচ্ছেমত প্রতিষ্ঠানের টাকায় বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ শুধু বাংলাদেশ নয় বিশে^র কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। কারণ বিদেশ যেতে গেলে আমাকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চেয়ারম্যানকে জানিয়ে যেতে হয়েছে। তাদের সম্মতি বা ছুটি ছাড়া কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই। এটা সত্য যে, এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হয়ে অনেকবার বিদেশ গিয়েছি। তারা যেখানে পাঠিয়েছেন সেখানেই গিয়েছি। যতই কষ্ট হোক, ক্লান্তি লাগুক আমি কাজকে কখনো না করিনি। তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি ব্যবসার নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করেছি। আমার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আজ তাদের সাথে জয়েন ভেঞ্চাওে ব্যবসা করছে জাপানে বিখ্যাত একটি কোম্পানি।

২০০৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানে ছিলাম। এটা সত্য। কিন্ত সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে আমি নাকি সকল ক্ষমতার অধিকারি। বাস্তবতা হল ভিন্ন। কোন প্রাইভেট কোম্পানিতে বেতনভুক্ত পরিচালক সকল ক্ষমতার অধিকারি হতে পারেন না। তাই আমার কাছেও সকল ক্ষমতা ছিল তা সর্ম্পূণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এখন একইভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমি এবং আমার পরিবারকে চরম সংকটের মুখোমুখী দাঁড় করিয়েছে। আপনাদের মাধ্যমে আমি কেডিএস কর্তৃপক্ষের কাছে এই আকুতি জানাই আমাকে যেন মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দেন। আমি আমার পরিবার নিয়ে শান্তিতে বাঁচতে চাই।

Related Posts