চট্টগ্রাম রাজনীতি লিড নিউজ

মধ্যরাতে বিএনপি অফিসে হামলা, নেতারা অবরুদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাতে চট্টগ্রামে নাসিমন ভবনের বিএনপি অফিসে হামলা চললো দফায় দফায়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনসহ অন্য নেতারা অফিসের ভেতরেই আটকা পড়েন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন বিএনপি নেতারা।

জানা গেছে, বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাত নয়টার দিকে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ি এলাকার নাসিমন ভবনের বিএনপি অফিসে এসে অবস্থান নেন মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।

রাত ১১টার দিকে বিএনপি অফিসের সামনে নূর আহমদ সড়ক দিয়ে জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাস সুমনের নেতৃত্বে একটি মিছিল থেকে হঠাৎ হামলা চালানো হয় বিএনপি অফিস লক্ষ্য করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় ওই মিছিল থেকে ককটেল ও ইটের টুকরো ছোঁড়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এ সময় বিএনপি অফিসের সামনে রাখা ডা. শাহাদাতের গাড়িটিও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় অফিসের ভেতর অন্য নেতাদের সাথে অবরুদ্ধ ছিলেন জানিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমরা অফিসের ভেতরেই ছিলাম। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ শুনি জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে একদল লোক অফিসের বাইরে গাড়ি ভাংচুর করছে। এ সময় তারা ককটেলও ফোটায়।’

পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাইরে বেরিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায় বলে জানান আবু সুফিয়ান। তবে ঘটনার সময় প্রচারিত একটি ফেসবুক লাইভে বিএনপি অফিসের ভেতর থেকে পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ করতে শোনা যায়।

প্রথম দফা হামলা করে বিএনপি কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পালিয়ে গেলেও কিছুক্ষণের মধ্যে সংগঠিত হয়ে হামলাকারীরা দ্বিতীয় দফা হামলা করলে ডা. শাহাদাত সহ বিএনপি নেতারা কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বলে জানান আবু সুফিয়ান।

জানা গেছে, হামলা চালানোর অন্তত আধঘন্টা পর পুলিশ নাসিমন ভবনের ঘটনাস্থলে আসে। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিএনপির নেতারা পুলিশের সাহায্য নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যে যার বাসার দিকে রওনা হয়েছেন। বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমরা কার্যালয়ে আটকা পড়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আমরা বের হই। এখন আমি গাড়িতে বাসায় যাচ্ছি।’

Related Posts