আনোয়ারা প্রতিনিধি:
আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের চুয়ানীর বাপের বাড়িতে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ধরতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ এসআই আবু মুসা (৪৫), এএসআই মোহাম্মদ নয়ন মিয়া (৩৫) ও কনস্টেবল জ্ঞানতোষ চাকমা (৩০)। তাদের কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই আবু মুসা বাদি হয়ে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আইয়ূব আলী (২৩), এহসান উল হক (২২) ও লিটন (২২) নামে ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করে।
থানা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের চুয়ানীর বাপের বাড়ির সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল বশরকে (৫০) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আটক করে পুলিশ । এসময় তার পরিবারের সদস্যরা ডাকাত বলে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে পুলিশের উপর হামলা চালায়। এমন অবস্থায় পুলিশের হাত থেকে তারা আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যায়, মূলত সাদা পোশাকে আসামি ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে পুলিশের ভুল বুঝাবুঝি হয়। পুলিশের পোশাক না থাকায় ডাকাত বলে সন্দেহ হয় তাঁদের। ফলে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটে।
যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছেন, এখন থেকে দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশকে তাঁদের নির্ধারিত পোশাক পরতে হবে। সাদা পোশাকে পুলিশ ডিউটি করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা পুলিশ যদি সাধারণ পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন। তবে তাঁকে অবশ্যই গোয়েন্দা পুলিশের ট্যাগ মার্ক লাগানো কটি পরতে হবে। কটি না পরলে তিনি দায়িত্বরত বলে বিবেচিত হবেন না। এ বিষয়ে নির্দেশনাও জারি হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার জানান, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় ৩ জনকে আটক করে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের আটক করতে এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপরদিকে, সিভিল কিংবা সাদা পোশাকে রাতের বেলায় আসামি ধরতে যাওয়া কতটা যুক্তিযুুক্ত ছিলো, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি ওসি।