ঢাকা অফিস
প্রতারণাই ছিল পাবনার নাসির উদ্দিন বুলবুলের পেশা।
কখনও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সহকারী পরিচালক আবার কখনও বড় কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিতেন তিনি। এভাবে উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
অবশেষে এক মেয়ের বাবার সঙ্গে এসএসএফ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার দায়ে নাসির ও তার সহযোগী মনির হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
প্রতারণার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটকের সময় নাসিরের কাজ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ১৫টি বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড, বিভিন্ন কোম্পানির হাতঘড়ি, ভুয়া পরিচয়পত্র, বিভিন্ন ফ্ল্যাটের দলিলের ফটোকপিসহ নানা আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ।
তিনি বলেন, নাসির নিজেকে কখনও এসএসএফ’র সহাকারী পরিচালক পরিচয় দিতেন আবার কখনও নামি-দামি কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করতেন।
নিজের বিলাসবহুল জীবন বোঝানোর জন্য একেকদিন একেক পোশাক পড়তেন। আলাদা আলাদা ঘড়ি ব্যবহার করতেন।
এসব করে উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন নাসির। এক মেয়ের বাবার সঙ্গে এসএসএফ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা করার সময় তাকে আটক করা হয়।
ডিসি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন নাসির। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য জানা যাবে।