নিজস্ব প্রতিবেদক
অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে কঠোর অবস্থান নিয়ে অভিযান শুরু করেছেন চসিকের নতুন মেয়র বীল মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। তারই অংশ হিসেবে নগরীর ডবল মুরিং থানাধীন টি এন্ড টি কলোনী সংলগ্ন আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের ফুটপাত ধরে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা শতাধিক দোকান পাট অপসারন করা হয় এবং ফুটপাতকে দখল মুক্ত করা হয়।
১১মার্চ বৃহষ্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) জাহানারা বেগম এর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত এ অভিযান পরিচালনা করে।এসময় লাকী প্লাজার মোড়ে অবৈধভাবে ফলের দোকান গড়ে তোলার দায়ের ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ১৪হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবং অভিযান পরিচালনায় ভ্রাম্যমান আদালতকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী বলেন, পায়ে হেঁটে নিরাপদে চলাচলের সুবিধার্থে রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত রাখা হয়। কিছু ব্যক্তি জনগনের ব্যবহার্য এসব ফুটপাত দখল করে তাদের আঁখের গোছাতে থাকে। অবৈধ দখলের মাধ্যমে দোকান পাট বসিয়ে ফুটপাতকে নিজেদের বাপ দাদার সম্পত্তির মত ব্যবহার করতে থাকে। এতে জনগণের ভোগান্তি হয়, ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না পেয়ে মূল রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। তাছাড়া এসব দোকান পাট ঘিরে কেনাকাটার জন্য রাস্তায় ভীর লেগে যানজট সৃষ্টি হয়, কর্মমূখী মানুষের শ্রমঘন্টা বিনষ্ট হয়। সিটি কর্পোরেশনকে নগরবাসীর এসব সুবিধা অসুবিধা দেখতে হয়। তাই, মাননীয় মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা আছে নগরীর সমস্ত রাস্তার ফুটপাতকে অচিরেই দখলমুক্ত করার। তারই আলোকে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, আজকের অভিযান যে কোন অবৈধ দখলদারদের প্রতি সিটি মেয়রের একটি সুনির্দিষ্ট বার্তা। নিজেদের মালামাল নিয়ে স্বেচ্ছায় ফুটপাতের দখল ছেড়ে না দিলে কঠোরতম শান্তির ব্যবস্থা নিবে অভিযান পরিচালনায় গঠিত ভ্রাম্যমান আদালত।
ফুটপাতকে দখল থেকে মুক্ত করায় সাধারন পথচারী, গাড়ী চালক ও স্থানীয় জনসাধারন সন্তোষ প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানান। অবৈধ দখলদাররা যাতে পুনরায় ফুটপাত দখল নিতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যও অনুরোধ জানান তারা।