চট্টগ্রাম লিড নিউজ

প্রকাশ্যস্থানে সভা-সমাবেশ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে গেছে উল্লেখ করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় এখন থেকে ক্লাব, কমিউনিটি সেন্টার, কনভেনশন হল, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসহ সব অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অতিথির সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান চলাকালে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি ও কমপক্ষে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

এ ব্যাপারে কমিউনিটি সেন্টার ও হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্য স্থানে সভা-সমাবেশ ওরস, মিলাদ মাহফিল, মহোৎসব ও অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান আপাতত বন্ধ থাকবে।

এ নির্দেশ অমান্য করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার (২১ মার্চ) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক পরাসহ শতভাগ স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সমুদ্রসৈকত, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে জেলার প্রশাসনের মেবাইল কোর্ট অভিযানের পাশাপাশি অভিযান চলাকালে মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে।

যেসব সরকারি কর্মকর্তার অফিস নেই কিংবা জরাজীর্ণ অফিস রয়েছে তাদের কার্যক্রম সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য একই ভবনে অফিস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিসি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী সাব্বির ইকবাল, সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (উত্তর) মো. মশিউদ্দৌলা রেজা, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল (রাউজান), হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (ফটিকছড়ি), স্বজন কুমার তালুকদার (রাঙ্গুনিয়া), এমএ মোতালেব (সাতকানিয়া), মো. রাশেদুল আলম চৌধুরী (হাটহাজারী), গালিব চৌধুরী (বাঁশখালী), ফারুক চৌধুরী (কর্ণফুলী), মো. জসীম উদ্দিন (মিরসরাই), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় (সীতাকুণ্ড), মোহাম্মদ রুহুল আমীন (হাটহাজারী), মোমেনা আক্তার (বাঁশখালী), শাহিনা সুলতানা (কর্ণফুলী), মাসুদুর রহমান (রাঙ্গুনিয়া), মিনহাজুর রহমান (মিরসরাই), সাহেদুল আরেফিন (ফটিকছড়ি), জোনায়েদ কবির সোহাগ (রাউজান), নাজমুন নাহার (বোয়ালখালী), ফয়সাল আহমেদ (পটিয়া), জোবায়ের হোসেন (আনোয়ারা), ইমতিয়াজ হোসেন (চন্দনাইশ), আহসান হাবিব জিতু (লোহাগাড়া), মো. আবদুস সালাম চৌধুরী (সাতকানিয়া) প্রমুখ।

সভায় সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের, পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম মো. আবু বকর সিদ্দীকি, রাউজান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম এসএম আবুল কালাম আজাদ, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল আলম মজুমদার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. উ খ্যে উইন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা, গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাহুল গুহ, গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন তালুকদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন রায়, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা ফজলুল কাদের, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, জেলা মহিলা বিষয়ক উপ-পরিচালক মাধবী বড়ুয়া, সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার, জেলা শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা নূরুল আবছার ভূঁঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ,থাকবে তিনদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রামসহ দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ, যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসি।

আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, এটা চলতি মৌসুমের প্রথম তাপপ্রবাহ। রোববার ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, পটুয়াখালী, সীতাকুণ্ড ও রাঙামাটি অঞ্চলে মৃদু এই তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

“আরও তিন দিন এ তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে তাপপ্রবাহের এলাকাও বাড়বে। তবে তাপপ্রবাহ তীব্র (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) রূপ পাওয়ার শঙ্কা নেই। চলতি মাসের শেষ দিকে ঝড়-বৃষ্টিও হতে পারে। ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হবে তখন।”

তিনি জানান, ফাল্গুনের শেষ সময়ে ঢাকার বাইরে গরম ও ঝড়বৃষ্টির দাপট ছিল কয়েক দিন। চৈত্রে এখন তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বাতাসের গতিবেগ কম আর আর্দ্রতা বেশি থাকায় ঘাম ঝরছে; অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে।

সোমবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আকাশ আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

বাংলাদেশে সাধারণত চৈত্রের মাঝ সময়ে তুলনামুলক গরম বেশি থাকে; সেই সঙ্গে মার্চ-এপ্রিলে কালবৈশাখী, বজ্রপাত আর বজ্রঝড়ের প্রবণতা দেখা যায়।

ঢাকায় সর্বশেষ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল। তারও আগে ১৯৬০ সালে ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল থার্মোমিটারের পারদ।

ওই বছর যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ওঠে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, যান্ত্রিক নগরে অপরিকল্পিত বহুতল ভবন, তীব্র যানজট, অতিরিক্ত শীতাতপ-নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ব্যবহার, সর্বোপরি সবুজের অভাবে দিনদিন তপ্ত হয়ে উঠছে ঢাকা। তাপমাত্রা বাড়ার প্রাকৃতিক কারণের সঙ্গে সঙ্গে বিকিরিত উত্তাপ বেশি অনুভূত হয় রাজধানীতে।

মার্চ মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে (৩৪-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সামান্য বেশি হতে পারে। মাসের শেষ দিকে দেশের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে ২টি মৃদু (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, এ মাসে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে স্বাভাবিকের (১৪৫-২০০ মিলিমিটার) চেয়ে কম বৃষ্টি হতে পারে। তবে শেষভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তখন ঝড়ো হওয়া ও কালবৈশাখী হতে পারে।

 

ডবলমুরিং এলাকায় লাখো মাস্ক বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর ১০০ স্পটে এক লাখ মাস্ক বিলি করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। জনগণকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আওতায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ প্রসঙ্গে বলেন, মাস্ক করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে সহজ সমাধান। মানুষ এবং করোনার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এ মাস্ক।

তাই মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা ১০০টি স্পটে এক লাখ মাস্ক বিলির উদ্যোগ নিয়েছি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জনগণকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ পুলিশের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আওতায় সকালে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ পশ্চিম জোনের উপ কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ, ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন উপস্থিত ছিলেন।
এরপর অফিসার ও স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে গঠিত টিমগুলো ১০০ স্পটে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ শুরু করে।

উপ কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ ১০টি স্পটে গিয়ে মাস্ক বিতরণ করেন।

তিনি বলেন, ‘করোনা থেকে বাঁচতে মাস্কের বিকল্প নেই। মাস্ক পরতেই হবে। তাই জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আমাদের এই কর্মসূচি। এ ব্যাপারে আমরা জনগণেরও সহযোগিতা চাই। ’

এ সময় স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে মাস্ক সচেতনতামূলক বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত বর্ণিল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন শোভা পায়। মাস্ক সচেতনতামূলক এ কর্মসূচি মাসব্যাপী চলবে।

 

কিশোরকে ছুরিকাঘাতঃ গ্রেপ্তার ৭ ছিনতাইকারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন দিন আগে চট্টগ্রামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এরা হলেন- মো. জাহিদ হোসেন (১৯), মো. সুমন ওরফে বিল্লা (২০), মো. অন্তর (২০), আশরাফুল (১৯), মো. রাহাত (২২), মো. শাহীন (৫৭) ও মো. মানিক (৩২)।

রোববার ভোর পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) আলী হোসেন জানান।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে লালখান বাজার-টাইগার পাস সড়কের বাটালি হিল সংলগ্ন ফুটপাথে সাফায়েত হোসেন সিফাতকে (১৮) ছুরিকাঘাত করে তার কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় একদল তরুণ। গুরুতর আহত সিফাত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় সিফাতের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় মামলা করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দেওয়ান হাট ও খুলশী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ে সরাসরি জড়িত জাহিদ, সুমন, অন্তর ও আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ক্রেতা শাহীন ও মোবাইল মেকানিক মানিককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।

উপ-কমিশনার আলী হোসেন বলেন, “ছিনিয়ে নেওয়া ফোনটি মানিকের কাছ থেকে এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ছুরিটি ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট সিএসডি গোডাউন সংলগ্ন পরিত্যক্ত পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।”

 

Related Posts