নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর বিএনপি কার্যালয় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২১ জন আহত হন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে, আসবাবপত্রে আগুন দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নগর বিএনপির আহবায়ক ডা.শাহাদাত হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগমসহ ১৫ জনকে আটক করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের তিন পুলের মাথা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সড়কের ওপর সমাবেশ করে। ওই সময় উপস্থিত কিছু পুলিশ সদস্য তাদের সমাবেশ শেষে জড়ো হতে না দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের পাশের রাস্তা দিয়ে চলে যেতে বলেন। এ দিকে সমাবেশ শেষ হওয়ার পরপরই নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের কাজীর দেউড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসে। সেটিও সড়কের ওপর সমাবেশ করতে থাকে। তখন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে যান বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের দলীয় কার্যালয়ের পাশে একটি অফিসে ধাওয়া দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে কোতোয়ালি থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এসে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। রাস্তায় থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা টায়ার পুড়িয়ে, রাস্তায় থাকা চা-দোকানের চেয়ার টেবিলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কাজীর দেউড়ি থেকে নাসিমন ভবন পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ থাকে। তবে বিকল্প সড়ক দিয়ে আটকে পড়া যাত্রীরা আসা যাওয়া করে।