রতন কান্তি দেবাশীষ,দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেঃ
পশ্চিমবঙ্গে কড়া নিরসপত্তার মধ্য দিয়ে বিধানসভা ভোট চলছে। ভোর থেকেই বুথে বুথে ভোটারদের লাইন। ভোটগ্রহণ হচ্ছে ৩ জেলার ৩১ কেন্দ্রে। হাওড়া ও হুগলি জেলায় ভোটের অবশ্য এটাই প্রথম দফা। দুই জেলার যথাক্রমে ৭ ও ৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভোট হচ্ছে ১৬টি আসনে। আগের দু-দফার মতো এই দফাতেও ভোটারদের ঢল দেখা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়েছে ১৪.০০ শতাংশ। ভোটদান চলছে নির্বিঘ্নেই। মঙ্গলবার সকাল থেকে তেমন বড় কোনও খবর না এলেও উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রে এক তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পাশাপাশি সোমবার রাতে গোঘাটে এক বিজেপি কর্মীর মায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা চালিয়েছে।
রাজ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে নানা অভিযোগ উঠেছে। ভোটের আগের রাতে বাগনানে আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি যৌগীবর নাগ। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ। এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম বাগনানের হ্যালান অঞ্চলের তৃণমূলের বুথ সভাপতি যোগীবর বাগ।
ভোট অভিযোগহীন করার লক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে হেতু মঙ্গলবারের ৩১টির মধ্যে সব চেয়ে বেশি আসন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়, তাই এই জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বেশি। প্রথম দু’দফাতেই এ বার ভাল ভোট পড়েছে। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৮৪.৬৩ শতাংশ। আর দ্বিতীয় দফায় ৮৬.১১ শতাংশ। কমিশনের লক্ষ্য, তৃতীয় দফায় ভোটের হার আরও বাড়ানো।
তবে নিরাপত্তার দিকেও কড়া নজর রয়েছে কমিশনের। মোট ৬১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি, ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবনে ৬৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। হুগলি জেলায় ১৬৭ কোম্পানি, হাওড়া গ্রামীণে ১৩৩ কোম্পানি, হাওড়া কমিশনারেটে ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতিটি বুথেই আধা সেনা রাখা হয়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে, ‘ওয়েব কাস্টিং’-এর উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।