সিনিউজ ডেস্ক
করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সিরাজ মিয়া (৫২) নামের ওই কর্মী লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ফুসফুসে তীব্র সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার বিকেলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর লক্ষ্মীপুরে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সিরাজ মিয়া ১০ জুলাই জ্বরে আক্রান্ত হন। অসুস্থ হওয়ার পাঁচ দিন পর ১৬ জুলাই তাঁর নমুনা পরীক্ষা করানো হলে করোনার নেগেটিভ আসে। শ্বাসকষ্ট থাকায় ওই দিনই সিটি স্ক্যান করানো হয় তাঁর। এতে তাঁর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ওই দিনই অসুস্থ সিরাজ মিয়াকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন দ্রুত কমতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়। কয়েক দিন ধরে তিনি ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, সিরাজ মিয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকার প্রথম ডোজ নেন চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর ৮ এপ্রিল তিনি টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন। এ ছাড়া তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তা নিয়ন্ত্রণে ছিল। অন্য কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন না তিনি।
আবু তাহের আরও বলেন, ‘পরীক্ষার পর করোনা নেগেটিভ এলেও সিটি স্ক্যান রিপোর্ট দেখে তাঁর করোনা হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হই। তাঁর ফুসফুস ৯০ শতাংশ সংক্রমিত ছিল।’
লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন আবদুল গাফফার বলেন, ‘লক্ষ্মীপুর স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে জড়িত সবাই টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সিরাজ মিয়া মারা যাওয়ার ঘটনা নতুন করে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে আমাদের।’