রীতা ধর
তোমার শুভ্রতার সমস্ত পথ
এখনো চিরচেনা হয়নি আমার
তবুও খুব সহজে তোমাকেই
বলতে পেরেছিলাম সেসব কথা,
সৌম্য নক্ষত্রদের রাত্রি যাপনের মতো
তীব্র হাহাকার কী নিষ্ঠুরভাবে
ছুঁয়েছিলো আমায়,
নির্জন রাতে আমার সমর্পণের যে মায়া
তাকেও কতো নিঃস্ব হয়ে ফিরতে হয়েছিল;
সেসব কথা,,,
তুমি বলেছিলে তোমার বুকে এক
কুহুকণ্ঠ পাখির বাস,
কোজাগরী পূর্ণিমা রাতে সে দ্যুতি ছড়ায়
তোমার আকাশে;
বলেছিলে, যে নদী ঢেউ তোলে তোমার হৃদয়ে
সে এক মোহনা প্রত্যাশী স্রোতের জল,,,
তাই আমিও নিহিত হয়েছিলাম তোমার আকাশের অন্তঃপুরে
অবগুণ্ঠিত বিরহে নয় প্রচ্ছন্ন হয়েছিলাম
শুভ্র নীলে,
তোমাকে বলেছিলাম
মহাশূন্যের গহন অন্ধকার হঠাৎ কিভাবে
ফুটে উঠেছিল,
আমার আঁচল যখন উড়েছিল মেঘের দেশে
প্রথম আবির্ভাবের শুচিতা নিয়ে
শুষ্ক জলাশয়ে শ্বেতপদ্ম কিভাবে হেসেছিল,
বনবাসী হাওয়া তোমার কাশবন দুলিয়ে
স্বচ্ছ ভোরের শব্দ হয়েছিল উদোম পথে,
সেসব কথাও তোমাকে বলেছিলাম।
শুধু আমার ললাটের দীঘল অঞ্জলি
গোধূলির সূর্যাস্তে ছিল নিত্য প্রবাহিত
সে কথা তোমায় বলা হয়নি।
তাই আমার নিরুপম সমর্পণ তুমি
গৈরিক গোধূলিকে লিখে দিলে।
শরত পূর্ণিমা আমার আর দেখা হলো না,,,