___________
নিজস্ব প্রতিবেদক
_________________________
চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে সাত তলা নির্মানাধীন ভবনে স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের চাঁদার দাবী পূরণ না করায় ফটিকছড়ির নেজাম পাশা নামক এক ভবনের মালিককে খুন করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের দাবী।
নেজাম পাশা উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভার ধুরুং হাদী বাপের বাড়ির বাসিন্দা।
নিহতের বড় ছেলে প্রবাসী ফয়সাল মুহাম্মদ ( হাইছম) মুঠোফোনে জানান, প্রায় দিন তার বাবা নির্মানাধীন সাত তলা ভবনের কাজ তদারকি করতে ফটিকছড়ি হতে খুলশীতে যেতেন। সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য হাসান নামের একজন কেয়ারটেকারও রয়েছে। প্রতিদিনকার ন্যায় রবিবার সকালেও তার বাবা সেখানে যান । সকাল দশটা থেকে তার ফোনে কল করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।দরোয়ানকে ফোন করা হলে তিনিও ওলট পালট কথা বলতে থাকেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলে কোন খোঁজ না পাওয়াতে নগরীতে বসবাসরত নিহতের বড় মেয়ে নাজমুন সবনম খুলশী থানায় জিডি করেন।
রাত দশটার দিকে তার ফোন চালু করে দরোয়ান পরিচয়ে কেউ একজন কথা বলেন। ভবনের মালামাল নিয়ে এসেছে, টাকা লাগবে বলে জানান ফোন করে। পরোক্ষনে আবারো ফোনটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
গ্রাম থেকে তার পরিবারের সদস্যরা রাতে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও কোন হদিস মিলেনি। অবশেষে ভোর সকালে মসজিদের মুসল্লিরা লাশ দেখতে পান। তার নির্মানাধীন ভবনের প্রায় চল্লিশগজ দূরে প্লাষ্টিকে ঢাকা হাত বাঁধা লাশটি পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সেখানে আসেন। পরে পুলিশ এসে লাসের সুরতহাল তৈরী করে মর্গে প্রেরণ করে।
কেন খুন হতে হলো ভবনের জমিদারকে? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিকভাবে চাঁদার দাবীর বিষয়টি উঠে আসে। নিহতের ছেলে হাইসম বলেন, ভবনের সাত তলার ডালাই কাজ শেষ। শুরু থেকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবী করে আসছিল। বাবা কোনভাবে এক টাকাও দিতে রাজি ছিল না। স্থানীয় চাঁদাবাজরা চাঁদা না পাওয়াতে খুন করতে পারে।
অপরদিকে দরোয়ানের সাথেও মনোমালিন্য ছিল। সে ভবনের জন্য নিয়ে আসা বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে ফেলতো। ঘটনার পর থেকে দরোয়ান হাসান পলাতক।
নিহত নেজাম পাশা দুই পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক। তিনি দীর্ঘসময় প্রবাসে ছিলেন। দুই পুত্র সন্তানরাও বর্তমানে প্রবাসে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অবিলম্বে খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী করছেন নিহতের স্বজনরা।
