চট্টগ্রাম শিক্ষা-ক্যাম্পাস

চসিকের বই বিতরণ উৎসব

 

 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, এক সময় আমরা মলাট বই পড়তাম। এমনও সময় ছিল একটি বইকে হাত বদলের মাধ্যমে কয়েক বছর ধরে পড়া হতো। এখন মলাট ও ছেঁড়াফাটা বই কেউ পড়েনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২০১০ সাল থেকে প্রত্যেক বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যের নতুন বই পৌঁছে দিচ্ছে। সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মাঝে একযোগে বিনামূল্যে ৩৪ কোটি ৭০ লক্ষ বই পৌঁছে দেয়া সরকারের বিরাট সাফল্য। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে পুলকিত করে। নতুন বই পেয়ে তারা আজ আনন্দে উল্লসিত। আজ ১ জানুয়ারি ২০২২ ইংরেজি শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত স্কুলসমূহের শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর টাইগারপাসস্থ চসিক মিলনায়তনে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। চসিক পরিচালিত ১০টি স্কুল ব্যতিত অন্যান্য স্কুলগুলো এই বই বিতরণ উৎসবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। শেষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন সিটি মেয়র। বছরের প্রথম দিন বই দেয়ার মাধ্যমে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের শুভ সূচনা করা হয়।
চসিক মেয়র বলেন, শিক্ষা ছাড়া মানবিক গুণ অর্জন খুবই কষ্টকর। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাশের হার ৯৯ শতাংশ, কিন্তু সিটি করপোরেশন স্কুলগুলোতে পাশের হার ৯৪ শতাংশ। চসিক পরিচালিত স্কুল গুলোতে পড়ালেখা করতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেড়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক শিক্ষককে আরও আন্তরিক হয়ে পড়ালেখার মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে হবে। পড়ালেখার মান নি¤œমুখী হলে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। আমরা জাতিকে শিক্ষিত করতে পারলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
মেয়র রেজাউল করিম আরও বলেন, শুধু পাঠ্য বই নয়, নতুন প্রজন্মকে সৃজনশীল ও বাস্তবমুখী পড়ালেখায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়াসহ তাদের মধ্যে উৎসাহ যোগাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। বই পড়ার আসক্তি বাড়াতে পারলে ছেলে-মেয়েরা আর বিপথে যাবেনা।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই বিতরণ উৎসবে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা স্ট্যান্ডিং স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কাউন্সিলর প্রফেসর নিছার আহমেদ চৌধুরী মঞ্জু, চসিক’র সচিব খালিদ মাহমুদ, প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কাউন্সিলর আবদুল মান্নান, কাউন্সিলর নুরুল আমিন, কাউন্সিলর বেগম লুৎফন্নেসা দোভাষ বেবী, কাউন্সিলর হুরে আরা বিউটি, মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ আবুল হাশেম, অপর্ণা চরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ জারেকা বেগম, কুসুম কুমারী সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চম্পা মজুমদার ও কাট্টলী সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম।###

Related Posts