নিজস্ব প্রতিবেদক
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কটুক্তি করার প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফটিকছড়ি বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজমকে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানিয়েছেন ফটিকছড়ির বিভিন্ন ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বশর মাস্টার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম গত ৩০ ডিসেম্বর ফটিকছড়ি উপজেলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বজল আহমদকে নিয়ে চরম বিষোদগার ও কটুক্তি করেন। তিনি তাদের সাদা দাঁড়ি রাখা নিয়েও কটুক্তি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। যা ভিডিও রেকর্ড আছে। এটা ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের সামিল।
তিনি বলেন,গত ২৮ ডিসেম্বর জহির আজম পাইন্দং ইউনিয়ন বিএনপির কথিত সম্মেলন ও কমিটি করেন। সেখানে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়কসহ বিএনপি নেতাদের দাওয়াতও দেয়া হয়নি। সম্মেলনের নামে জহির আজম একটি পকেট কমিটি গঠন করেন। এই পকেট কমিটির বিরুদ্ধে আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করার পর তিনি পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম ও বজল আহমদসহ মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করেন।
তিনি বলেন,মাহবুবুল আলমসহ আমরা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি। তিনি বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধেও বিরুপ কথা বলেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম বলেন, জহির আজম বালু বহাল দখল,চাঁদাবাজি,আওয়ামী লীগের নেতা,তাদের দোসরদের শেল্টার দিচ্ছেন। লেলাংয়ের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি থানায় তাকে ছাড়াতে তদবির করেন। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তিনি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে জহির আজমকে বহিষ্কার করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া জহির আজমকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়, অন্যথায় মানববন্ধন,সমাবেশ ও অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুশিয়ারি দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা যথাক্রমে মাহবুবুল আলম চৌধুরী,বজল আহমদ,মো. কামাল,আবুল বশর,নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মফজল আহমদ, মুন্সি মিয়া, মোহাম্মদ হারুন,মো. শফি, আবদুল হামিদ, সোলাইমান, আমুনুল হক, আবুল কালাম, স্বপন বড়ুয়া, জহুরুল আনোয়ার, জালাল উদ্দীন প্রমুখ।