বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় সরকারী গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম বিভাগীয় নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা ও সাধারণ সভা আজ ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত সাধারণ সভা নগরীর লয়েল রোডের সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের গাড়ি চালক মোঃ এনামুল হক ফারুকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের গাড়ি চালক মোঃ ফখরুল ইসলাম বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারী গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ শহীদ মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল সরকার। মহান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী, সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইউছুফ, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সুলতান, কর্মকর্তা মোঃ দিদার, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ কিবরিয়া, মোঃ দরবেশ আলী, মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ আবু সাঈদ, মোঃ ইউনুছ আলী ও মোঃ আবু সিদ্দিক। বিভাগের বিভিন্ন জেনারেল হাসপাতাল, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাড়ি চালকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মমতাজ উদ্দিন ইউছুফ, মোঃ রফিক, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ কামরুল, মোঃ ওবায়েদুর রহমান ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন। সভাশেষে সর্বস্মতিক্রমে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের গাড়ি চালক মোঃ এনামুল হক ফারুককে সভাপতি ও চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়কের গাড়ি চালক মোঃ ফখরুল ইসলাম বাবরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগীয় সরকারী গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটির অন্যান্যা কর্মকর্তা ও সদস্যদের নাম পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। কমিটি ঘোষণার পর বাংলাদেশ সরকারী গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দকে ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মোঃ এনামুল হক ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফখরুল ইসলাম বাবর।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগীয় সরকারী গাড়ি চালক কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ শহীদ মিয়া বলেন, সরকারী গাড়ি চালকেরা অনেক শ্রম দেন। তারা ডিজি থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছাকাছি থেকে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করলেও স্বাস্থ্য বিভাগের নি¤œœ স্তরের কর্মচারীদের কাছে অবহেলার শিকার হন। সরকারী ছুটির দিনেও সরকারী গাড়ি চালকদেরকে অনেক সময় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কোভিডকালীন সময়েও মৃতদেহ পরিবহণ থেকে শুরু করে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন। করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে জীবনবাজি রেখে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সরকারী গাড়ি চালক মোঃ রফিকুল ইসলামসহ অনেকে। তারা যে পরিমান শ্রম দেন সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তাই কোন ধরণের বৈষম্য না রেখে গাড়ি চালকের পেশাকে একটি মানসম্মত অবস্থানে নিয়ে যেতে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হানিফ বলেন, ঝুঁকি ভাতা, রেশনিং ব্যবস্থা, অধিকাল ভাতা, প্রশিক্ষণ, এলাকার কাছাকাছি স্থানে বদলী ব্যবস্থা, অন্যান্য কর্মচারীদের ন্যায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও দাবী-দাওয়া আদায়ে সরকারী গাড়ি চালকদেরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে কোন ধরণের ভেদাভেদ না রেখে আমরা আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সংগঠনের কার্যক্রম আরও বেগবান হবে।###