নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের জনসাধারণ ও আশ্রিত রোহিঙ্গাসহ মোট ৩০,০০০ হতদরিদ্র পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ‘কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টার ও সৌদি দূতাবাস। ‘খাদ্য সামগ্রী বিতরণ প্রোগ্রাম ২০২০’ এর আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় (বৃহষ্পতিবার) ১৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের এম এ আজিজ ষ্টেডিয়ামে ৫৫০ হতদরিদ্র পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ. জ. ম. নাসির উদ্দীন। এ সময় তিনি সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের এই মানবিক উপহার কার্যক্রমের ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বাংলাদেশ ও সৌদিআরবের ঐতিহাসিক এই বন্ধুসুলভ আচরণ ও পারষ্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উপহার বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসের ফাইনান্স, কালচার এন্ড রিলিজিয়ন বিষয়ক প্রধান আহাম্মদ হাসান হামদী, কিং সালমান হিউম্যানিটেরিয়ান এইড এন্ড রিলিফ সেন্টার, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তুর্কী সায়িদ আল গামেদী, আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন জমির উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ডিরেক্টর ও কমিউনিটি পুলিশিং চট্টগ্রাম মহানগর-এর মহাসচিব অহিদ সিরাজ স্বপন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন, এরফান আলী ভূঁইয়া, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শাহাব উদ্দীন, নাজিম উদ্দীন দুলু ,মেসবাহ উদ্দীন প্রমুখ।
উপহার সামগ্রী বিতরণের পুরো কার্যক্রম পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করছে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, কর্মসূচির আওতায় ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জে ৫০০, সৈয়দপুরে ৪৫০, যশোরে ৪০০, গাজীপুরে ৩৫০, নওগাঁ ৫০০, ত্রিশালে ৩৫০, ভৈরব ৩০০, বি-বাড়িয়ায় ৪০০, ফরিদপুর ৪০০, কুমিল্লা ২০০, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ২৫০, হাটহাজারী ৪০০, জামালখান ৫০০, সাতকানিয়া ১৫০০, ফটিকছড়ি ১০০০ এবং রাউজান ও কাউখালী গোদারপাড় এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
