নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগরে সফল মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বাৎসরিক সমুদ্র মহড়া ‘এক্সারসাইজ সেফগার্ড-২০২০’।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারী) ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে সমাপনী দিবসের মহড়াসমূহ প্রত্যক্ষ করেন। এসময় নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রধান অতিথি জাহাজে এসে পৌঁছালে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল জাহাজে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
১৮ দিনব্যাপী এ মহড়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইনসুইপার, পেট্রোলক্রাফ্ট, মিসাইল বোটসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাহাজ এবং নৌবাহিনীর মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফ্ট, হেলিকপ্টার এবং বিশেষায়িত ফোর্স সোয়াডস্ প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সেনা ও বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাসমূহ এ মহড়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। মোট ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত এ মহড়ার উল্লেখযোগ্য দিকসমূহের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল নৌ বহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিষ্টিক অপারেশন, ল্যান্ডিং অপারেশন, উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত নৌ স্থাপনাসমূহের প্রতিরক্ষা মহড়া প্রভৃতি।
নৌবাহিনীর এ বার্ষিক মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদের হেফাজত, সমুদ্র পথের নিরাপত্তা বিধানসহ চোরাচালানরোধ, জলদস্যুতা দমন, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং সমুদ্র এলাকায় প্রহরা নিশ্চিতকরণ। চূড়ান্ত দিনের মহড়ার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ হতে মিসাইল উৎক্ষেপণ এ্যান্টিএয়ার র্যাপিড ওপেন ফায়ার, আরডিসি ফায়ার, ভিবিএসএস/নৌকমান্ডো মহড়া ও নৌ যুদ্ধের বিভিন্ন কলাকৌশল।
মহড়ার সফল সমাপ্তির পর প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রাম নৌ অ’লের সকল কর্মকর্তা ও নাবিকদের অভিনন্দন জানান এবং নৌ সদস্যদের পেশাগত মান, দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন এবং সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
নৌ মহড়ার সমাপনী দিনে অন্যান্যদের মধ্যে উচ্চ পদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।