কক্সবাজার জাতীয় লিড নিউজ

ভাসানচরে গেলো আরও ১৭৭৬ রোহিঙ্গা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র চট্টগ্রামে আসা ১৭৭৬ জন রোহিঙ্গার তৃতীয় দলটি নোয়াখালীর ভাসানচরে উদ্দেশে রওনা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকা থেকে চারটি জাহাজ এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মোজাম্মেল হক বলেন, “অন্য একটি জাহাজে করে এই রোহিঙ্গাদের মালপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাগর শান্ত আছে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে তারা ভাসানচরে পৌঁছে যাবে।”

নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের দুটি জাহাজ ও চারটি স্পিডবোট নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গাদের বহনকারী জাহাজের সঙ্গে রয়েছে বলে জানান তিনি। কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে প্রথম দফায় ভাসানচরে নেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২৮ ডিসেম্বর এক হাজার ৮০৫ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ওই দ্বীপে গড়ে তোলা আশ্রয়ন প্রকল্পে পৌঁছায়। তৃতীয় দফার স্থানান্তরের জন্য বুধবার রাতেই রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় অন্তত ৫০টি বাস।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই মাঠ থেকেই বাসগুলো তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সময় ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

আগের দুবারের মত এবারও রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা দেখা যায়।

Related Posts