জাতীয় লিড নিউজ

ভারত থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে কাল খুলছে দর্শনা ও গেদে চেকপোস্ট

 

সিনিউজ ডেস্ক

ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিকদের দেশে আনতে আগামীকাল রোববার থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-গেদে চেকপোস্ট। অর্থাৎ কাল থেকে এ চেকপোস্ট দিয়ে দেশে আসতে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা।

দেশে প্রবেশের পর তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। করোনায় আক্রান্তদের রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে। এ ছাড়া, দেশে আসা সবাইকেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। এ সময়কালে তাদের পাসপোর্ট থাকবে পুলিশ হেফাজতে।

আজ শনিবার দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এসব সিদ্ধান্তের তথ্য জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।

জেলা প্রশাসক জানান, দেশে প্রবেশের পর সেখানেই তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় করোনা শনাক্তদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ও বাকিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে প্রাথমিকভাবে চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউট ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নির্বাচন করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্ধারিত পরিবহনে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যাত্রীদেরকে পৌঁছে দেওয়া হবে।

কোয়ারেন্টিনে অবস্থানকালীন সবাইকেই নিজ থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে। তাদের পাসপোর্ট পুলিশ হেফাজতে থাকবে। কোয়ারেন্টিন শেষে সিভিল সার্জনের ছাড়পত্রের পর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হবে।

পুরো প্রক্রিয়া তদারকির জন্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনকে প্রধান করে সাত সদস্যের মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা) আবু রাসেল, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি প্রতিনিধি, জেলা গ্রাম প্রতিরক্ষা ও আনসার বাহিনীর প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন মুক্তা।

সভায় জেলা প্রশাসক আরও জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোয়ারেন্টিনের জন্যে চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি চারটি হোটেল নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

 

Related Posts