কলকাতা প্রতিনিধি
নারদ মামলায় দলীয় নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি তৃণমূলের। সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রকে গ্রেফতার করে সিবিআই। গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। ঘটনাচক্রে, তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছিলেন। তবে গত বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র হয়ে তাঁর ‘তৎপরতা’ লক্ষ করা যায়নি। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমে প্রতিবাদ জানান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের গ্রেফতারের পরেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিকদের মমতা বলেন, ‘‘ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’’ সূত্রের খবর, দলীয় নেতাদের এই গ্রেফতারকে মমতা ‘বেআইনি’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। এ-ও বলেছেন, যত ক্ষণ না তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তিনি নিজাম প্যালেস ছাড়ছেন না। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতেই পথে নামেন জো়ডাফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।
হাওড়ার ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি মোড়ে জাতীয় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। রাস্তা অবরোধও করা হয়। অবরোধের জেরে কিছুটা যানজট দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে সরিয়ে দেয় অবরোধকারীদের। হুগলি জেলার কোন্নগরে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। পাশাপাশি জিটি রোড অবরোধও করা হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর চৌরঙ্গী মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। মদন মিত্রের নির্বাচনী কেন্দ্র কামারহাটিতেও বিটি রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা।
আসানসোলে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা রাজু আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে শহরের সিটি বাস স্ট্যান্ডের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। গোটা বিষয়টিকেই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ হিসাবে দেখছে জোড়াফুল শিবির। দলীয় কর্মীদের মুখেও সেই বয়ানেরই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে আসানসোলের আশ্রম মোড়-সহ আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। মন্দিরতলা-চকফুলডুবি বাজারে হয় পথ অবরোধও। নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায় এবং শঙ্কুদেব পাণ্ডাকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলছেন তৃণমূল কর্মীরা।