সিনিউজ ডেস্ক
আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন হাজারীর ফ্লাইটে করেই সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন বিতর্কিত নায়িকা পরীমণি। ফেসবুক লাইভে জয়নাল হাজারী বলেন, ‘সম্রাটের এক সঙ্গী আরমান তাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর যান, আমরা একই ফ্লাইটে গেলাম এবং আসার সময়ও একই ফ্লাইটে এলাম। এই আরমানের কোনো ছবি মুক্তি পেয়েছে বলে আমি জানি না। ফেনীতেও তাকে নিয়ে গিয়েছিল।
একটা কথাতেই সব শেষ হয় যে- এই মেয়ে বোট ক্লাবে গিয়েই অপরাধ করেছে। ‘
পরীমণির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটা যদি না যেত এ ঘটনা হতো না। তাকে যদি ধর্ষণ করা হয় বা নির্যাতন করা হয়- তাতো তার দোষেই হয়েছে। সেতো জানে ওই ক্লাবে কি হয়। মদ খাওয়া হয়, জুয়া খেলা হয়। আমি যদি জেনে শুনে বাঘের মুখে পড়ি, বাঘতো আমাকে খাবেই। সাপের গায়ের উপর পা দিলেতো কামড়াবেই। এটাতো জানা কথাই, তাহলে সে কেন গেল।
মূলত এটার জন্য আমি তাকে অপরাধী করি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্য জয়নাল হাজারী বলেন, ’পরীমণি বোট ক্লাবের ঘটনার পর থানায় গিয়েছিলেন মামলা করতে। তবে পরীমণি অসংলগ্ন মাতাল ছিলেন বলে সেই মামলা নেননি থানার ওসি সাহেব। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সে যদি মাতাল হয়- তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করার নিয়ম। কিন্তু তখন তা কেন করা হলো না।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদের এক বক্তব্যে সাহস পেয়েছেন জানিয়ে হাজারী আরও বলেন, ’হারুন সাহেব বলেছেন- মেয়েটা যদি ওখানে না যেত এই অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতো না। হ্যাঁ, এটাই ঠিক। এখন আমি বলতে পারি এই করোনাকালে একটি যুবতি মেয়ে পরীমণি রাত তিনটা পর্যন্ত সেই বোট ক্লাবে ছিলো, সে সেখানে ভাংচুর চালিয়েছে বলে ক্লাবটি মামলা করেছে। আমি বলি তাকে তখনই কেন আটক করা হলো না যখন সে মাতাল অবস্থায় থানায় গেছে। ‘
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন