জাতীয়

বগুড়ায় হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটে ৭ করোনা রোগির মৃত্যু

 

সিনিউজ ডেস্ক

বগুড়ার করোনা বিশেষায়িত মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত ৮টা থেকে শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টায় সাত করোনা রোগী মারা গেছেন। হাসপাতালটিতে হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সংকট থাকায় অক্সিজেনের অভাবে শ্বাসকষ্টে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, অক্সিজেন স্যাচুরেশন (রক্তে ঘনীভূত অক্সিজেনের মাত্রা) ৮৭-এর নিচে থাকা আরও ১০ রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিটে মাত্র দুটি ক্যানোলা থাকলেও একটি অকেজো।

তবে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিটে মূল্যবান হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সংকট থাকলেও কেউ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাননি। একজন রোগী প্রতি মিনিটে ১৫ লিটার অক্সিজেন পাচ্ছেন। মৃতরা সকলে বয়োবৃদ্ধ, ডায়াবেটিসসহ জটিল রোগে আক্রান্ত। এছাড়া তাদের সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

মৃতরা হলেন, বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার আলী জাহিদ (৬৫), শিবগঞ্জ উপজেলার মীরা বেগম (৩৫) ও আবদুল হান্নান (৬৫), সারিয়াকান্দির টুকু মণ্ডল (৬৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবির রাবেয়া বেগম (৬০), নওগাঁর বদলগাছির আবদুল মতিন চৌধুরী (৮২) ও সিরাজগঞ্জ সদরের লিলি চৌধুরী (৫৫)।

২৫০ শয্যার বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, করোনা বিশেষায়িত এ হাসপাতালের ধারণ ক্ষমতা ২০০ রোগী। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২২৩ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত মার্চে এখানে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। মুমূর্ষু রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহে অন্তত ২০টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার প্রয়োজন থাকলেও আছে মাত্র দুটি। এরমধ্যে একটি অকেজো।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলেন, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা বরাদ্দ চেয়ে দফায় দফায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তবে এখনও বরাদ্দ মেলেনি।

বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গউসুল আজিম চৌধুরী জানান, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মোট ১১ জন মারা গেছেন। এ সময় আক্রান্ত হয়েছেন ১০০ জন।

করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট খুবই সংক্রমণশীল। এর কারণে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

Related Posts