চট্টগ্রামে ৬ষ্ঠ বারের মতো এসে পৌঁছেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, আমেরিকার মর্ডানা এমআরএনএ ও চীনের তৈরী সিনোফার্মের আরও ৩ লাখ ৯ হাজার ৬’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন। তন্মধ্যে দ্বিতীয় চালানে অ্যাস্ট্রেজেনেকার ২৭ কার্টুন, তৃতীয় চালানে মর্ডানার ৩২ কার্টুন ও চতুর্থ চালানে সিনোফার্মের ১৮৬ কার্টুন ভ্যাকসিন রয়েছে। অ্যাস্ট্রেজেনেকার ১০ হাজার ৮’শ ভায়ালে ১ লাখ ৮ হাজার ডোজ, মর্ডানার ৩ হাজার ৮৪০ ভায়ালে ৩৮ হাজার ৪’শ ডোজ ও সিনোফার্মের ৮১ হাজার ৬’শ ভায়ালে ১ লাখ ৬৩ হাজার ২’শ ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে। মর্ডানার ভ্যাকসিন মহানগরী এলাকায় ও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন উপজেলা পর্যায়ে রেজিস্ট্রেশনকারীদের মাঝে প্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। যাদের বয়স ২৫ বছরের অধিক তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে এসএমএস প্রাপ্তি সাপেক্ষে ভ্যাকসিন গ্রহন করতে পারছেন। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার প্রথম ডোজ নেওয়া চট্টগ্রামের এক লাখ ৫ হাজার ৪২৫ জন টিকা গ্রহীতা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। আগামী রোববার (৮ আগস্ট) থেকে দ্বিতীয় ডোজের এই টিকা দেওয়া শুরু করা হবে।
আজ ৬ আগস্ট ২০২১ ইংরেজি বুধবার সকাল ৭টায় বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যানে করে আসা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, মর্ডনা ও সিনোফার্ম মিলে মোট ২৪৫ কার্টন ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এরপর ভ্যাকসিনগুলো সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই স্টোরে ওয়াক-ইন-কুলারে (ডবিøউআইসি) ২ থেকে ৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। এসময় ভ্যাকসিন গ্রহণ কমিটি সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবদুল্লাহ আল-মাসুম, জেলা প্রশাসকের পক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস, ওষুধ প্রশাসনের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট মোঃ হামিদ আলী ও কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান মোঃ জাফর উল্লাহ। ভ্যাকসিন তদারকিতে ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়া, বেক্সিমকো ফার্মার ইনস্টিটিউশন অফিসার মোহাম্মদ ওয়াহিদ ও সিনিয়র স্টোর ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসীন।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় বারের মতো অ্যাস্ট্রেজেনেকার ১ লাখ ৮ হাজার ডোজ, তৃতীয় বারের মতো আমেরিকার তৈরী মর্ডানার ৩৮ হাজার ৪’শ ডোজ এবং চতুর্থ বারের মতো চীনের তৈরী সিনোফার্মের ১ লাখ ৬৩ হাজার ২’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমরা পেয়েছি। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা অতীতে অ্যাস্ট্রেজেনেকার প্রতম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহন করেছেন তাদের জন্য মহানগরের নির্ধারিত কেন্দ্র ও উপজেলা পর্যায়ে আজ ৬ আগস্ট শুক্রবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিনোফার্মের ভ্যাকসিনগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মর্ডানার ভ্যাকসিনগুলো সিটি কর্পোরেশন এলাকার নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। যাদের বয়স ২৫ বছরের অধিক তারা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে এসএমএস সাপেক্ষে ভ্যাকসিন গ্রহন করছেন। উল্লেখ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার প্রথম ডোজ নেওয়া চট্টগ্রামের এক লাখ ৫ হাজার ৪২৫ জন টিকা গ্রহীতা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। আগামী রোববার (৮ আগস্ট) থেকে দ্বিতীয় ডোজের এই টিকা দেওয়া শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১ জানুয়ারী ১ম দফায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরী ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ, ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় আরও ৩ লাখ ৬ হাজার ডোজ, ১৮ জুন সিনোফার্মের তৈরী ৯১ হাজার ২’শ ডোজ, ১১ জুলাই ১ লাখ ৮৪ হাজার ডোজ এবং ২৮ জুলাই আমেরিকার তৈরী মর্ডানা এমআরএনএ ও চীনের তৈরী সিনোফার্মের ১ লাখ ৮৫ হাজার ২’শ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে আসে। গত ৭ ফেব্রæয়ারী থেকে চট্টগ্রামে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ####