ইতিহাস চট্টগ্রাম

মুজিবনগর দিবসে চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আলোচনা সভা

 

আজ ১৭ এপ্রিল রোববার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের উদ্যোগে আলোচনা সভা সন্ধ্যায় নগরীর দারুল ফজল মার্কেটস্থ সংসদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহীদুল হক চৌধুরী ছৈয়দ, চান্দগাঁও থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, আকবর শাহ থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সেলিম উল্ল্যাহ, বাকলিয়া থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন, কোতোয়ালী থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৌরিন্দ্র নাথ সেন, খুলশী থানা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, পতেঙ্গা থানার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জাকির হোসেন, আকবর শাহ থানার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সজিব, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মাদ রাজিশ ইমরান প্রমুখ।
বক্তৃতার শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৭৫’র ১৫ আগষ্ট যাঁরা শহীন হয়েছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেন, আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। আজ থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আ¤্রকাননে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথগ্রহণ। শপথ অনুষ্ঠানে পাঠ করা হয় স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। বৈদ্যনাথতলা ছিল এক অপরিচিত গ্রাম। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ীসরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের এই গ্রামটির নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ঘোষণা করেন, আজ থেকে (১৭ এপ্রিল) বৈদ্যনাথ তলার নাম হবে মুজিবনগর। আজ বাঙালি জাতির কাঙ্খিত স্বাধীন রাষ্টের সরকার প্রতিষ্ঠার সেই স্মরণীয় দিন। এ সময় উপস্থিত হাজার হাজার মুক্তিপাগল বাঙালি, শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দে উল্লাসে ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগানে আম্রকুঞ্জের বাতাস প্রকম্পিত করে তুললেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে রইলো এই দিনটি।
তিনি আরো বলেন, জাতির জনক তাঁর ৫৫ বছরের জীবন-ইতিহাসে ৪ হাজার ৬ শত ৮২ দিন অর্থ্যাৎ প্রায় ১৩ বছর জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি যুদ্ধ করেছেন বলে তাদের জাতিসত্তাকে টিকিয়ে রাখতে পেরেছেন। এমন একজন নিঃস্বার্থ নেতা পাওয়া বাঙালি জাতির জন্য সৌভাগ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।####

Related Posts