চট্টগ্রাম শিক্ষা-ক্যাম্পাস

শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা রোধ সম্ভবঃ সিভিল সার্জন

 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের উজ্বল ভবিষ্যৎ। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের তাদের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে ভবিষ্যতে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনা রোধ করা সম্ভব। এ জন্য স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্য বইতে আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়টি অর্ন্তভূক্তকরণ অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি আগুনে পোড়া প্রতিরোধ করতে হলে সর্বত্র জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আজ ১৮ মে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নগরীর জামালখানস্থ শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচারাভিযান বিষয়ক স্কুল পর্যায়ের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর লাইফ স্টাইল, হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশনের পক্ষে পায়াক্ট বাংলাদেশ কর্র্তক এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক কার্যক্রমসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উদ্যোগে অগ্নি নির্বাপক মহড়া প্রদর্শন করা হয়।
সিভিল সার্জন বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বাসা-বাড়িতে রান্না ঘরে অসতর্কতা, বজ্রপাত, সহিংসতামূলক এসিডে পোড়া, দুর্ঘটনাজনিত আগুন লাগা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট, মোবাইল ফোনে চার্জ দেয়া অবস্থায় কথা বলা ও কলকারখানায় বয়লার বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন কারণে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে থাকে। বর্তমান সরকার পোড়া রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আগুনে পোড়ার ঘটনা ঘটলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ক্ষতস্থানে কোন ক্রিম বা ওষুধ না লাগিয়ে সাথে সাথে হাসপাতালে চলে যেতে হবে। হাসপাতালে নেয়ার সময় শুকনো পরিস্কার কাপড়, গজ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে রাখতে হবে। বরফ, গরম বা ফ্রিজের পানি ব্যতীত স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ক্ষতস্থানে দেয়া যেতে পারে।
শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ আবু সোলেমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা থোয়াইনু মং মারমা ও ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আবদুর রাজ্জাক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পায়াক্ট বাংলাদেশ’র পরিচালক মোঃ জিয়া উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসরকারী টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা’র সিনিয়র রিপোর্টার আবুল হাসনাত ও জাতীয় সংবাদ সংস্থা-এনএনবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান রনজিত কুমার শীল। অবহিতকরণ সভায় শাহ ওয়ালীউল্লাহ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। ###

Related Posts