নবাগত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) রায়হান উদ্দিন খান বলেছেন, গত জুলাই ও আগস্ট মাসে স্বাভাবিক পুলিশিং কার্যক্রম একেবারে ভেঙ্গে পড়েছিল। আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে চেষ্টা করছি। থানায় সেবার মান বৃদ্ধিসহ পুলিশের সার্ভিস আরও দ্রæত করতে সহযোগিতা চাই। মামলার তদন্ত কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে চাই যাতে বিচারের ক্ষেত্রে রেজাল্ট পাওয়া যায়। মাঠ পর্যায়ে পুলিশের সার্ভিসের পরিবর্তন করতে কাজ করবো যাতে জেলার মানুষ সহজে দ্রæত পুলিশের সেবা নিশ্চিত করতে পারি। এর মধ্যে অনেক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক করতে আমরা জনগণ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। যেকোনো তথ্য ও পরামর্শ দিতে যে কেউ আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নগরীর ষোলশহরের ২নং গেটস্থ জেলা পুলিশের কনফারেন্স রুমে জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অস্ত্র জমা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৮৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তন্মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় ৩৩৩টি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। বাকি অস্ত্রগুলো দেশের বিভিন্ন থানায় জমা দিয়েছেন কি-না সেটার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অস্ত্র কয়েকটি জমা হয়েছে, সেটা জানা যাবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মোঃ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) সুদীপ্ত সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) আসাদুজ্জামান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন। ##