নিজস্ব প্রতিবেদক:
নগরীতে পুলিশ টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। এসব চেক পোস্টে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশ কাজের ব্যাপ্তি বাড়িয়েছে। পুলিশি টহল এবং চেকপোস্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
যেসব কর্মকা- নির্বাচনকে সহিংস করতে পারে সেগুলো আগাম প্রতিরোধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। কাউকেই নির্বাচনী সহিংসতা করতে বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে দেওয়া হবে না। যারা বিশৃঙ্খলা করতে চাইবে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
রোববার (১৮ জানুয়ারি) সিএমপি’র কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা ঘোষিত অপরাধী ও বিভিন্ন মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি তাদের নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। অতীতের সংঘাতের বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ব্যাপারে সিএমপি কমিশনার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়টি নির্ভর করে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর। একটি ঘটনার কারণে সাধারণ একটি ভোটকেন্দ্রও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যেতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণের তালিকা যত শেষের দিকে নির্ধারণ করতে পারবো, তত আমাদের পরিকল্পনা হবে আরও নিখুঁত।
বৈধ অস্ত্র রাখার ব্যাপারে সিএমপি কমিশনার বলেন, চট্টগ্রামে ২ হাজার ৪৭৭টি বৈধ অস্ত্রের খবর পুলিশের কাছে আছে। কখন অস্ত্রগুলো জমা দিতে হবে তা নির্দেশনা দিবেন ইসি। আমরা কোনো পর্যায়ে অস্ত্রের ব্যবহার আশা করি না। আমাদের চেষ্টা থাকবে, কোনো ধরনের অস্ত্রের ব্যবহার বা সংঘাত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে। মোগলটুলির ঘটনায় যে অস্ত্র দিয়ে হত্যাকা- ঘটানো হয়েছিল তা এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
চসিক নির্বাচনে কত জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিএমপি থেকে ৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। সাধারণত নির্বাচন কমিশন থেকে একটি নির্বাচনী দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। পুরো বিষয়টি জানতে পারলে পুলিশের সংখ্যাটা আরও নির্দিষ্ট করে জানা যাবে। তবে ওয়ার্ডভিত্তিক ও থানাভিত্তিক আমাদের ফোর্স থাকবে। এর পাশাপাশি রিজার্ভ ফোর্স রাখা হবে। ডিবি, কাউন্টার টেরোরিজম এবং সোয়াট টিমও টহলে থাকবে।
এসময় সিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (অর্থ) আমেনা বেগম ও অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) এস এম মোস্তাক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।